খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েলের কুষ্টিয়ায় সমর্থকদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েলের কুষ্টিয়ায় সমর্থকদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির বিক্ষোভ
55

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও একাধিক দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি দৌলতপুর বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

তারা ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ‘ঐক্যবদ্ধ হও, গণতন্ত্র রক্ষা করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ঘোষণায় কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নাম আসে। এ ঘোষণার পর বাচ্চু মোল্লার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেন ও মিষ্টি বিতরণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কিন্তু রাত গড়াতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। বিএনপির অভিযোগ, ওই রাতেই উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান মাসুমের বাড়ির সামনে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি উপজেলার আরো তিনটি বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়, ধানের শীষ প্রতীকসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ হামলার পেছনে ছিলেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও কুষ্টিয়া-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী শরিফ উদ্দিন জুয়েলের সমর্থকরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলে বিভাজন সৃষ্টি করা এবং এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা। উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান মাসুম বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পরিবার আতঙ্কে আছে কিন্তু এভাবে ভয় দেখিয়ে কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রার্থী ঘোষণাকে ঘিরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলই এই সহিংসতার মূল কারণ।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page