খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

দিনাজপুর—১ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াত প্রার্থী

দিনাজপুর প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩০ পূর্বাহ্ণ
দিনাজপুর—১ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াত প্রার্থী
40

দিনাজপুর—১ (বীরগঞ্জ – কাহারোল) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জুর নাম ঘোষণা করায় তৎক্ষণিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মতিউর রহমান। সোমবার ফেসবুক পোস্টে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

দাঁড়িপাল্লার নমিনি মতিউর তার ফেসবুকে লেখেন, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মনজুরুল ভাই। দিনাজপুর—১ (বীরগঞ্জ – কাহারোল) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ১ নম্বর সদস্য, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনজুরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পাওয়ায় মনজুরুল ইসলামকে ব্যক্তিগতভাবে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি আমার কাছে শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত মানুষ। ব্যক্তি জীবনে তিনি সজ্জ্বন ও ভদ্র মানুষ।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ও দর্শন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকবে। আমরা আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা জনপরিসরে তুলে ধরব; দিনশেষে জনতাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

তিনি আরো লেখেন, মনজুরুল ভাই, তার দল এবং দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আশা করছি, আমরা একটা জম্পেশ নির্বাচনী মাঠের লড়াইয়ে নামব এবং আমাদের সংসদীয় আসনকে বাংলাদেশের বুকে উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক হিসেবে তুলে ধরতে পারব। বীরগঞ্জ—কাহারোল জিন্দাবাদ৷ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

এ বিষয়ে মতিউর রহনানের কাছে জানতে চাইলে তিনি  বলেন, জামায়াত একটি জনকল্যাণ, ন্যায় ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায়, তাই আমরা প্রতিপক্ষকে কখনো প্রতিন্দ্বন্দ্বী মনে করি না। আমরা আমাদের যায়গা থেকে মানুষকে সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবো, কেউ যদি আমাদের চেয়ে বেটার দিতে পারে আমরা তাকে অভিনন্দন জানাবো।

এমডি মাহফুজুর রহমান লিখেন, তার এমন শুভেচ্ছা জানানোকে নতুন রাজনীতির বার্তা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। তারা সেই পোস্টে কমেন্ট করে এমডি মাহফুজুর রহমান লেখেন, বন্ধু মতিউর রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই তার ইতিবাচক চিন্তা ও ভদ্র রাজনীতির জন্য। ভিন্ন মত থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যে উদার ও গণতান্ত্রিক মানসিকতা তিনি প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। রাজনীতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের মঞ্চে রূপান্তরিত করার এই দৃষ্টিভঙ্গি দেশের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এম আমিনুল ইসলাম লেখেন, আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি হোক পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও দায়িত্বশীল।

মুরসালিম হক লেখেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি এমন চমৎকারভাবে অভিনন্দন জানানো বিরল ঘটনা! মাশাআল্লাহ। ফি আমানিল্লাহ। এভাবেই দেশটা এগিয়ে যাক সুন্দরের পথে।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page