ঘুষ গ্রহণ করে জমির খাজনা কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. আল আমিন তালুকদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। দূর্নীতির ডায়েরিতে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “ঘুষের বিনিময়ে জমির খাজনা কমিয়ে দেন ভূমি কর্মকর্তা”
শিরোনামে দূর্নীতির ডায়েরিতে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই আল আমিন তালুকদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, “বেশি টাকা নিয়ে রশিদে কম দেখান ভূমি কর্মকর্তা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আলামিন তালুকদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২(১) বিধি মোতাবেক আল আমিন তালুকদারকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বরখাস্ত আদেশ ০৬ নভেম্বর ২০২৫ খ্রি. তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি (খোরপোষ) ভাতা পাবেন। এই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ তার চাকরি বইতে লিপিবদ্ধ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ভূমি কর্মকর্তা মো. আল আমিন তালুকদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
মানুষের জীবনে অনেক সময় কোনো কিছুর তীব্র প্রয়োজন বা বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন কঠিন সময়ে রাসুল (সা.) দুই রাকত নামাজ পড়ে একটি দোয়া পড়তে বলছেন।
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও দয়ালু। সব পবিত্রতা আরশের মালিক মহান আল্লাহর জন্য এবং সব প্রশংসা জগত্গুলোর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। আমি আপনার কাছে অনুগ্রহ লাভের উপায়গুলো, ক্ষমা লাভের দৃঢ় অঙ্গীকার, প্রত্যেক ভালো কাজের প্রাচুর্য এবং মন্দ কাজ থেকে আশ্রয় কামনা করছি। আপনি আমার কোনো পাপ ক্ষমা না করে রাখবেন না, কোনো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি না দিয়ে রাখবেন না, আপনার সন্তুষ্টিদায়ক কোনো প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ না করে রাখবেন না।
হে পরম দয়ালু মহান আল্লাহ।’
আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা (রা.) বর্ণনা করেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বললেন, ‘যদি তোমাদের কারো আল্লাহর কাছে বা কোনো আদম সন্তানের কাছে কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, সে যেন ভালোকরে অজু করে এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর রাসুলের প্রতি দরুদ পাঠ করে এই দোয়া পড়ে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪৭৯)
জমি-জায়গা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ‘সংকটে’ পড়েননি বা ‘জিম্মি’ হতে হয়নি এমন কাউকে পাওয়া বিরল। বিশেষ করে অর্থনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বেতন পান তারা। অথচ ব্যতিক্রম ছাড়া কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক তারা। চাকরি করেন চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে কিন্তু অট্টালিকা তুলেছেন জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে। রাজধানীতে ফ্ল্যাট। ছেলেমেয়েদের পড়ান বিদেশে। কীভাবে সম্ভব? একজন জেলা -রেজিস্ট্রার বেতন পান ন্যূনতম ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা।
এক জমির বহুবার মালিক বদল হয়। কেনা সূত্রে; উত্তরাধিকার সূত্রে; দান সূত্রে বদল হয় জমির দলিল। এই বদল করতে টাকায় টাকায় পার হতে হয় ‘ঘুষের ঘাট’। ধরা যাক; গ্রামের এক নিম্ন আয়ের মানুষ রেজিস্ট্রি অফিসে গেলেন। এরপর তার সামনে ভয়ংকর পিয়ন, উমেদার, নকলনবিশ সর্বোপরি সাব -রেজিস্ট্রার। কীভাবে একজন জেলা -রেজিস্ট্রার কোটি কোটি টাকার মালিক?হয়
চাঁদপুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর –
নকল তুলতে নেন ৪ হাজার টাকা। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত নেন প্রায় ১২ গুণ। হেবা দলিল সম্পাদনা ফি মাত্র ১ হাজার ২৩০ টাকা। এর বদলে তিনি নেন ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, শতাংশের হিসাব কষে ঘুষ নেন তিনি। না দিলে কাজ তো হবেই না, উল্টো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। অবশেষে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েই ফিরতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিনিয়ত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি-সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ছে। এসব অভিযোগের কোনোটি প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে আবার কোনোটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযানে সত্যতা মিললে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষগ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় সম্প্রতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি
নারায়ণগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার থাকাকালে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে রাজধানী সহ বিভিন্ন জায়গাতে ফ্লাট কিনেছেন এবং প্লট কেনাসহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।
দুদকের তথ্যমতে, গত বছরের নারায়ণগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার আলী আকবর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকীকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সাব-রেজিস্ট্রার থাকা কালে নবম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা বেতন পান। তার এই চাকরি ছাড়া আর কোনো আয়ের উৎস নেই। অথচ নিজ একতলায় একটি বাড়ি ও প্লট, ঢাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, প্লট কেনার অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের কাছে অভিযোগে বলা হয়, চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের মধ্যে সরকার নির্ধারিত ফি আদায়ের তালিকা টানানো থাকলেও তা মানা হয় না। তালিকায় বিভিন্ন প্রকৃতির দলিলের মধ্যে সাফ-কবলা, হেবা ঘোষণাপত্র, দানপত্র ও বন্ধকী দলিল সম্পাদনের জন্য পৃথক ফি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশকার, মুহুরি বা সংশ্লিষ্টদের সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দলিল সম্পাদন করতে বাধ্য করে। প্রতিটি দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে দলিলে উল্লিখিত জমির মূল্যের ওপর ১ শতাংশ টাকা অফিসকে দিতেই হয়। এই ১ শতাংশ টাকা অফিসকে না দিলে দলিল সম্পাদন হয় না। এ ছাড়া অফিসের মুহুরি ও অন্যান্য কর্মচারীর জন্য আলাদা খরচ দিতে হয়। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে সাধারণ মানুষ যেন জিম্মি।
অভিযোগে আরও বলা হয় দলিল সম্পাদনে দীর্ঘদিন ধরে ফির নামে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা না দিলে কোনো কাজ হতো না। জমি রেজিস্ট্রিকালে যে পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়, তার একটি অংশ পেতেন জেলা -রেজিস্ট্রার। আলী আকবর দায়িত্ব পালনকালে একই কায়দায় অর্জিত অর্থ আদায় করে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ কেনেন।
অভিযোগে বলা হয়, প্রতিটি হেবা-ঘোষণাপত্র দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি রয়েছে ১ হাজার ২৩০ টাকা। কিন্তু ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের হেবা-ঘোষণাপত্র দলিল সম্পাদনের জন্য অফিসে গিয়ে একজন জমি ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় অন্তত ৬০ হাজার টাকা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, একটি সাফ-কবলা দলিল সম্পাদনের জন্য সরকারি ফি হচ্ছে জমির মোট মূল্যের ওপর প্রতি লাখে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। কিন্তু সেখানে নেওয়া হয় লাখে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আবার অফিসকে দিতে হয় জমির মোট মূল্যের ওপর আরও ১ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা দিতে হয়।
অভিযোগে বলা হয়, দানপত্র দলিল সম্পাদনের জন্য ২ শতাংশ উৎস কর নেওয়ার কোনো বিধান নেই। জমি ক্রেতা শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরি ২ শতাংশ উৎসে করের টাকা নেন। এ ছাড়া অফিস খরচ বাবদ অতিরিক্ত আরও ১ শতাংশ টাকা নেন। অতিরিক্ত অর্থ না দিলে বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে দলিল সম্পাদন বন্ধ রাখার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের একটি নকল ওঠাতে সরকারি ৩৩০ টাকা ফির স্থলে জমি ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা -রেজিস্ট্রার আলী আকবর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি
গেল কয়েক বছরে শাকিব খানের ভেতর বেশ বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেও দর্শকদের চমকে দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের লুক, গেটআপ এবং নিজস্ব স্টাইলের কারণে তরুণ প্রজন্মের মাঝেও তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এই মুহূর্তে শাকিব খান তার নতুন ছবি ‘সোলজার’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এরই মধ্যে নতুন খবর, আসন্ন একটি ছবিতে তার বিপরীতে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের আলোচিত অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে। এমন তথ্য নিজেই জানিয়েছেন শাকিব।
সম্প্রতি কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের একটি ভিডিওতে শাকিব খান মজা করে বলেন, তোমার অনেকগুলো ভ্লগ দেখলাম আমার ভবিষ্যৎ নায়িকার সঙ্গে, হানিয়ার সঙ্গে।
পাশ থেকে একজন জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, একটা সিনেমা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শাকিব–ভক্তদের মাঝে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কোন ছবিতে হানিয়া আমিরকে দেখা যেতে পারে এ ব্যাপারে শাকিব এখনও কিছু নিশ্চিত করেননি।
তবে ভক্তরা ইতিমধ্যে ধারণা করা শুরু করেছেন। কারও মতে, ‘প্রিন্স’ ছবিতে শাকিব–হানিয়া জুটি দেখা যেতে পারে। আবার কেউ বলছেন, ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা নতুন রোমান্টিক ছবিটিতেও থাকতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘সোলজার’ ছবির শুটিং শেষ করে শাকিব খান ডিসেম্বর থেকে ‘প্রিন্স’ সিনেমার শুটিং শুরু করবেন। এরপর আগামী বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি আজমান রুশো পরিচালিত আরেকটি নতুন ছবির কাজে অংশ নেবেন, যার নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সেই ছবির নায়িকা হিসেবে একেবারে নতুন মুখ নেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন