খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

ভুয়া ভাউচারে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করলেন লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত উন নাহার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১৩ অপরাহ্ণ
ভুয়া ভাউচারে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করলেন লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত উন নাহার
89

লালমনিরহাটে ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. নিশাত উন নাহার ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে এক বছরে ভূয়া বিল ভাউচারে ২৫ লক্ষ ৯ হাজার ৩ শত ৬৫ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. শাহজালাল স্বাক্ষরিত এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদনটি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং-জেপপ/লাল/শা-প্রশা/২৫/১৮৭, তাং ২২/৬/২৫ইং।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি ১০ শয্যার ওয়ার্ডের অবস্থা অমানবিক। ১০ শয্যা বাস্তবে নেই। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সরবরাহকৃত শয্যা অদ্যাবদি কেন্দ্রে ব্যবহারিত হয়ে আসছে।

অথচ শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‎পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খাতে ১ লক্ষ ৩২ হাজার। দশ শয্যার ওয়ার্ডের বিছানাপত্র খাতে ৫১ হাজার। প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ৩০ হাজার। পেট্রোল লুব্রিকেন্ট খাতে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৭৫ টাকা। মোটরযান মেরামত খাতে ৭০ হাজার। এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত খাতে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩৭৫ টাকা। চিকিৎসা যন্ত্রপাতি খাতে ৯০ হাজার। অন্যান্য যন্ত্রপাতি খাতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার। তিনটি যন্ত্রপাতি খাতে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার। এমএসআর খাতে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা। ঔষধ সংগ্রহ খাতে ১০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা। কম্পিউটার সামগ্রী খাতে ৪৫ হাজার। কম্পিউটার মেরামত খাতে ৩৯ হাজার। কম্পিউটার সহ অন্যান্য ৫২ হাজার। আসবাবপত্র সংগ্রহ খাতে ৭৭ হাজার ও আসবাপত্র মেরামত খাতে ৪০ হাজার। বৈদ্যুতিক খাতে ৮২ হাজার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি খাতে ৬৬ হাজার। স্বাস্থ্য বিধান খাতে ৩৭ হাজার ও পানি সরবরাহ খাতে ৬১ হাজার। দ্রব্যাদি খাতে ৪৩ হাজার ও অন্যান্য মনিহারী খাতে ৪৯ হাজার। সবমিলে এক বছরে ২৫ লক্ষ ৯ হাজার ৩ শত ৬৫ টাকা বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ হলেও ‎তৎকালীন মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. নিশাত উন নাহারের স্বাক্ষরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মনোয়ারা বেগম ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারী ওইসব অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে আউটসোর্সিং নীতিমালা অমান্য করে পরিবহন ব্যয় খাতে ৮ হাজার ও গ্যাস, জ্বালানী খাতে ২৫ হাজার। এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের বরাদ্দ এবং খরচের অমিল রয়েছে। সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থে কেনা মালামাল, স্টক, সরবরাহ ও বিতরণ রেজিস্টার, ঔষধ, আসবাবপত্র, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, এ্যাম্বুলেন্স, কম্পিউটার, মোটরযান মেরামতের তথ্যের কোন ‎হদিস নেই। খরচের স্বপক্ষে বিল ভাউচার সহ স্টক কিংবা সরবরাহ রেজিস্টার দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কোন প্রকার কেনাকাটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভুয়া বিল ভাইচারের মাধ্যমে সরকারী কোষাগার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে পুরো টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে মনোয়ারা বেগম যোগদান করেন। এরপর থেকে সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ক্লিনিক্যাল স্টাফ, এসএসিএমও-এফডাব্লুভি, নিরাপত্তা প্রহরী, আয়া, মিডওয়াইফ, সকল ষ্টাফ সহ ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পিয়ন, আয়া, নৈশপ্রহরীর পোশাক বিল, আনুতোষিক ভাতা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন সহ অন্যান্য বিলের টাকা উত্তোলনে মনোয়ারা বেগমকে ঘুষ দিতে হয়।

এছাড়াও ওই কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) কে ম্যানেজ করে একটানা একই অফিসে ১৭ বছর বহাল থাকায় মনোয়ারা বেগম শুধুমাত্র একাই সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ধারণা করছেন। তারা আরো বলছেন, এক বছরে যারা ২৫ লক্ষ টাকা আত্নসাত করে তাহলে দীর্ঘ ১৭ বছরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের খোঁজখবর নিলে মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে রহরহ দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এসব দুর্নীতির টাকা দিয়ে দুই মেয়েকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেন। করেছেন ছাদধালাই বাড়ি, কিনেছেন জমি ও ব্যাংকে রেখেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

দীর্ঘদিনের এসব অভিযোগে মনোয়ারা বেগমকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলি করার হলেও তিনি ওই অফিসে যান না। এবং প্রায় একমাস ধরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের হাজিরা খাতা কোন স্বাক্ষর করছেন না বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছেন। এরআগেও মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে আজো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
‎​
অভিযুক্ত অফিস সহকারি মনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাকে বিল তৈরি করতে বলেছেন করেছি। ওই বিল সঠিক কি না তাতো আমার দেখার বিষয় নয়। আমি কোন অনিয়ম করিনি।

মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. নিশাত উন নাহার বলেন, আমি দীর্ঘসময় লালমনিরহাটে চাকরি করে সেবা দিয়েছি। লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সরঞ্জামাদি কেনায় অডিট আপত্তির বিষয়টি আমি দেখবো। অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট দেখে কোটি কোটি টাকার অমিল আছে, সেসব আপনারা দেখেন না।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. শাহজালাল বলেন, শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লাখ নয়, বরং বিগত চার বছরের সকল আর্থিক লেনদেন ও মালামাল ক্রয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দের পুরো টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।

‎​এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদনটি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page