খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

ভূয়া সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা চাকরীর শেষ সময়ে ” জলঢাকাকে ঢেকে ফেলেছেন” ঘুষ আর দুর্নীতির চাদরে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
ভূয়া সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা চাকরীর শেষ সময়ে ” জলঢাকাকে ঢেকে ফেলেছেন” ঘুষ আর দুর্নীতির চাদরে

নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার লুৎতফর রহমান মোল্লা যার বয়স মুক্তিযোদ্ধার চলাকালীন মাএ ৫ বছর ছিল এখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা” কথাটা কল্পনা মনে হলে আসলে তা বাস্তব শুধু তাই নয় সেই মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন সাব রেজিস্ট্রার পদ এবং হয়েছেন মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী এখন সাধারন জনগনের প্রশ্ন? ৫ বছরের একটি শিশু বাচ্চা কিভাবে যুদ্ধ করলেন আর এখন কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হলেন।

সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা সাব রেজিস্ট্রার হওয়ার আগে ছিলেন একজন আমিনে সহকারী ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ১৮৯ জনের সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি হয় উচ্চ আদালতের নির্দেশে। তাদের মধ্যে লুৎফর রহমান একজন। স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে এই সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা ঘুষ দুর্নীতি মাধ্যমে জাল দলিল করে বনে যান অঢেল সম্পদের মালিক যা দুদকের নজরের আড়ালে।

২০১৬ সালে দিকে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন লুৎফর রহমান মোল্লা । জাল দলিল করার কারনে। ওই বছরের ১৫ মে তিনি ও দলিল লেখক মুনসুর রহমান জাল দলিল করার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে আটক হয়েছিলেন। কিন্তুু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সাথে জড়িত থাকার কারণে তাকে বেশি দিন এর ভোগ পোহাতে হয়নি।

১৭।১১।২৪ইং তারিখে তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করে যা আজও আলোর মুখ দেখেনি। সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা তার অবৈধ উপার্জনের অর্থ দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হাওয়া ফাইলগুলো ধামাচাপার দিয়ে রাখেন যাতে করে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সহজে প্রমাণিত না হয়।

ঘুষ দুর্নীতি ও জাল দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লুটেরা কথিত সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা। তিনি মুজিবনগর সরকারের কথিত কর্মচারী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভূয়া শিক্ষা সনদে ২০০৯ সালে চড়ামূল্যে বাগিয়ে নেন সাব রেজিস্ট্রারের মতো লোভনীয় পদ। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ভূয়া সাব রেজিস্ট্রার ও শীর্ষতম কালোটাকার পাহাড় গড়ে তোলা বরিশালের অসীম কল্লোল, ধানমন্ডি খ্যাত আবুল হোসেন, নরসিংদী সদর থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া সোহরাব হোসেন সরকার, রূপগঞ্জ খ্যাত খোন্দকার গোলাম কবির, নোয়াখালী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রংপুর সদর ও পীরগাছার আলোচিত সাব রেজিস্ট্রার রাম জীবন কুন্ডু, বাগেরহাট মোংলার স্বপন কুমার দে, কিশোরগঞ্জ সদর খ্যাত মিনতী দাস (বর্তমানে ফরিদপুর সদর) ও মিনতী দাসের স্বামী পরিতোষ দাস, ধামরাই কামালপুর খ্যাত মঞ্জুরুল আলম ( বর্তমানে লালমোহন ভোলা), মো: ফারুক পটুয়াখালী সদর, খেপুপাড়ার কাজী নজরুল ইসলাম, কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইল খ্যাত নুরুল আমিন তালুকদার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের শ্রীপুর খ্যাত বর্তমানে কাপাসিয়ার সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গণি মন্ডল, মুক্তিয়ারা খাতুন প্রমূখদের ন্যায় লুৎফর রহমান মোল্লাও এখন কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। নামে বেনামে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। রয়েছে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ।

১লা জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরে কৃষক পরিবারে জন্ম নেন লুৎফর রহমান মোল্লা। অনেক কষ্টে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও বিএ পাশ করতে পারেননি। অথচ টাকা ও আওয়ামী নেতাদের তদবিরে তৎকালীন মন্ত্রী আমিনুল ইসলামকে ম্যানেজ করে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও বিএ পাশের ভূয়া সনদে হাতিয়ে নেন সাব রেজিস্ট্রার পদ

২০০৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর চাকরি পেয়ে খুলনার তেরখাদা- ফুলতলা, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর, সাতক্ষীরা সদর, মাগুরা সদর, ঢাকার ধানমন্ডি, কিশোরগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, আবার ঢাকার উত্তরায় এসে শেখ হাসিনার পেতাত্মাদের তথা শীর্ষ আওয়ামী নেতাদের মিশন সাকসেস করতে ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হন লুৎফর রহমান মোল্লা।।

নীলফামারীর জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মোল্লাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার জন্মতারিখ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে, যা সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

জন্ম ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স নিয়ে প্রশ্ন:

জানা যায়, মো. লুৎফর রহমান মোল্লার জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৬। যদি এই তথ্য সঠিক হয়, তাহলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স মাত্র পাঁচ বছর ছিল। ৫ বছর বয়সে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পাওয়া কিভাবে সম্ভব, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।

ব্যক্তিগত তথ্য ও সরকারি দায়িত্ব পালন:

তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার তরমুগুরিয়া মাষ্টার কলোনীতে। বর্তমানে তিনি ঢাকা শহরের শান্তিনগরে নিজস্ব ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তবে সরকারি কাজে নিয়মিত ফাঁকি দিয়ে ঢাকায় বেশি সময় কাটানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ:

বিগত দিন পর্যন্ত গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে মো. লুৎফর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে জমির রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে একটি ১০ তলা ভবনের ২৭টি ফ্ল্যাট একত্রে জমির অংশ হিসাবে রেজিস্ট্রি করা হয়, যা আইন এবং নিয়মের পরিপন্থী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্ট থাকার কথাও আলোচনায় এসেছে।

সাতক্ষীরা সদরে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির দায়ে তিনি এক পর্যায়ে কারাদণ্ড ভোগ করেন। এরপর তিনি স্থানান্তরিত হন।

বদলি ও নতুন পদায়ন:

সম্প্রতি মো. লুৎফর রহমান মোল্লাকে ঢাকা উত্তরার সাব-রেজিস্ট্রার পদ থেকে বদলি করে নীলফামারীর জলঢাকায় পদায়ন করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চাকরিতে নিয়োগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত বিতর্ক

২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর মো. লুৎফর রহমান মোল্লা সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। এক মামলার রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় তিনি সরকারি চাকরি পান। তবে তার জন্মতারিখ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কিত প্রমাণপত্রাদি জমা দিতে হয়, তবে মো. লুৎফর রহমানের বয়স ও মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ:

সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জনমত চাঞ্চল্যকর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এমন ব্যক্তিকে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দেওয়া হলো এবং কীভাবে তিনি সরকারি পদে নিয়োগ পেলেন। সরকারি হিসাব-নিকাশে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা মোকাবিলায় যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মো. লুৎফর রহমান মোল্লা কোন মন্তব্য করেননি। তবে কিছু উৎস বলছে, দুর্নীতি ও সমালোচনার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।

এত দুর্নীতি করার পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে ভূয়া সার্টিফিকেটের নিয়োগপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা। তাহলে কি সাধারণ জনগণ বুঝে নিবে আইনে চোখ কি আসলেই অন্ধ।

এ সকল বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোনটি তিনি রিসিভ করেননি।

 

তীব্র প্রয়োজনের সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

ইসলামী জীবন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১:০৩ অপরাহ্ণ
   
তীব্র প্রয়োজনের সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মানুষের জীবনে অনেক সময় কোনো কিছুর তীব্র প্রয়োজন বা বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন কঠিন সময়ে রাসুল (সা.) দুই রাকত নামাজ পড়ে একটি দোয়া পড়তে বলছেন।

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ أَسْأَلُكَ لاَ تَدَعَ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا لِي يا أرحمَ الراحمِين

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম।সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসয়ালুকা মুজিবাতি রাহমাতিক ওয়া আজায়িমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিন ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন। আসয়ালুকা লা তাদা লি জামবান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়া লা হাজাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা কাদাইতাহা লি ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও দয়ালু। সব পবিত্রতা আরশের মালিক মহান আল্লাহর জন্য এবং সব প্রশংসা জগত্গুলোর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। আমি আপনার কাছে অনুগ্রহ লাভের উপায়গুলো, ক্ষমা লাভের দৃঢ় অঙ্গীকার, প্রত্যেক ভালো কাজের প্রাচুর্য এবং মন্দ কাজ থেকে আশ্রয় কামনা করছি। আপনি আমার কোনো পাপ ক্ষমা না করে রাখবেন না, কোনো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি না দিয়ে রাখবেন না, আপনার সন্তুষ্টিদায়ক কোনো প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ না করে রাখবেন না।

হে পরম দয়ালু মহান আল্লাহ।’

 

আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা (রা.) বর্ণনা করেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বললেন, ‘যদি তোমাদের কারো আল্লাহর কাছে বা কোনো আদম সন্তানের কাছে কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, সে যেন ভালোকরে অজু করে এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর রাসুলের প্রতি দরুদ পাঠ করে এই দোয়া পড়ে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪৭৯)

জমির দলিল করতে দাও লাখে লাখ—জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবরের নির্দেশে চাঁদপুরে চলছে “ঘুষের মহোৎসব”

ক্রাইম রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
   
জমির দলিল করতে দাও লাখে লাখ—জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবরের নির্দেশে চাঁদপুরে চলছে “ঘুষের মহোৎসব”

জমি-জায়গা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ‘সংকটে’ পড়েননি বা ‘জিম্মি’ হতে হয়নি এমন কাউকে পাওয়া বিরল। বিশেষ করে অর্থনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে।   বেতন পান তারা। অথচ ব্যতিক্রম ছাড়া কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক তারা। চাকরি করেন চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে  কিন্তু অট্টালিকা তুলেছেন জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে। রাজধানীতে ফ্ল্যাট। ছেলেমেয়েদের পড়ান বিদেশে। কীভাবে সম্ভব? একজন জেলা -রেজিস্ট্রার বেতন পান ন্যূনতম ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা।

এক জমির বহুবার মালিক বদল হয়। কেনা সূত্রে; উত্তরাধিকার সূত্রে; দান সূত্রে বদল হয় জমির দলিল। এই বদল করতে টাকায় টাকায় পার হতে হয় ‘ঘুষের ঘাট’। ধরা যাক; গ্রামের এক নিম্ন আয়ের মানুষ রেজিস্ট্রি অফিসে গেলেন। এরপর তার সামনে ভয়ংকর পিয়ন, উমেদার, নকলনবিশ সর্বোপরি সাব -রেজিস্ট্রার। কীভাবে একজন জেলা -রেজিস্ট্রার  কোটি কোটি টাকার মালিক?হয়

চাঁদপুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর –

নকল তুলতে নেন ৪ হাজার টাকা। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত নেন প্রায় ১২ গুণ। হেবা দলিল সম্পাদনা ফি মাত্র ১ হাজার ২৩০ টাকা। এর বদলে তিনি নেন ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, শতাংশের হিসাব কষে ঘুষ নেন তিনি। না দিলে কাজ তো হবেই না, উল্টো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। অবশেষে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েই ফিরতে হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিনিয়ত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি-সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ছে। এসব অভিযোগের কোনোটি প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে আবার কোনোটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযানে সত্যতা মিললে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষগ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়ায় সম্প্রতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি

নারায়ণগঞ্জ সদর   সাব-রেজিস্ট্রার থাকাকালে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে রাজধানী সহ বিভিন্ন জায়গাতে ফ্লাট  কিনেছেন এবং  প্লট কেনাসহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।

দুদকের তথ্যমতে, গত বছরের  নারায়ণগঞ্জ সদর   সাব-রেজিস্ট্রার  আলী আকবর  বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে  দুদকে। কমিশন অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকীকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের একজন কর্মকর্তা  বলেছেন, সাব-রেজিস্ট্রার থাকা কালে  নবম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা বেতন পান। তার এই চাকরি ছাড়া আর কোনো আয়ের উৎস নেই। অথচ নিজ একতলায়   একটি বাড়ি ও প্লট, ঢাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট,  প্লট কেনার অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের কাছে অভিযোগে বলা হয়, চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার  অফিসের মধ্যে সরকার নির্ধারিত ফি আদায়ের তালিকা টানানো থাকলেও তা মানা হয় না। তালিকায় বিভিন্ন প্রকৃতির দলিলের মধ্যে সাফ-কবলা, হেবা ঘোষণাপত্র, দানপত্র ও বন্ধকী দলিল সম্পাদনের জন্য পৃথক ফি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশকার, মুহুরি বা সংশ্লিষ্টদের সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দলিল সম্পাদন করতে বাধ্য করে। প্রতিটি দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে দলিলে উল্লিখিত জমির মূল্যের ওপর ১ শতাংশ টাকা অফিসকে দিতেই হয়। এই ১ শতাংশ টাকা অফিসকে না দিলে দলিল সম্পাদন হয় না। এ ছাড়া অফিসের মুহুরি ও অন্যান্য কর্মচারীর জন্য আলাদা খরচ দিতে হয়। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে সাধারণ মানুষ যেন জিম্মি।

অভিযোগে আরও বলা হয়  দলিল সম্পাদনে দীর্ঘদিন ধরে ফির নামে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা না দিলে কোনো কাজ হতো না। জমি রেজিস্ট্রিকালে যে পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়, তার একটি অংশ পেতেন জেলা -রেজিস্ট্রার। আলী আকবর  দায়িত্ব পালনকালে একই কায়দায় অর্জিত অর্থ আদায় করে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ কেনেন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রতিটি হেবা-ঘোষণাপত্র দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি রয়েছে ১ হাজার ২৩০ টাকা। কিন্তু ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের হেবা-ঘোষণাপত্র দলিল সম্পাদনের জন্য অফিসে গিয়ে একজন জমি ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় অন্তত ৬০ হাজার টাকা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, একটি সাফ-কবলা দলিল সম্পাদনের জন্য সরকারি ফি হচ্ছে জমির মোট মূল্যের ওপর প্রতি লাখে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। কিন্তু সেখানে নেওয়া হয় লাখে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আবার অফিসকে দিতে হয় জমির মোট মূল্যের ওপর আরও ১ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা দিতে হয়।

অভিযোগে বলা হয়, দানপত্র দলিল সম্পাদনের জন্য ২ শতাংশ উৎস কর নেওয়ার কোনো বিধান নেই। জমি ক্রেতা শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরি ২ শতাংশ উৎসে করের টাকা নেন। এ ছাড়া অফিস খরচ বাবদ অতিরিক্ত আরও ১ শতাংশ টাকা নেন। অতিরিক্ত অর্থ না দিলে বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে দলিল সম্পাদন বন্ধ রাখার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের একটি নকল ওঠাতে সরকারি ৩৩০ টাকা ফির স্থলে জমি ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা -রেজিস্ট্রার  আলী আকবর  মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি

শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন হানিয়া আমির

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ
   
শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন হানিয়া আমির

গেল কয়েক বছরে শাকিব খানের ভেতর বেশ বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেও দর্শকদের চমকে দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের লুক, গেটআপ এবং নিজস্ব স্টাইলের কারণে তরুণ প্রজন্মের মাঝেও তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এই মুহূর্তে শাকিব খান তার নতুন ছবি ‘সোলজার’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এরই মধ্যে নতুন খবর, আসন্ন একটি ছবিতে তার বিপরীতে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের আলোচিত অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে। এমন তথ্য নিজেই জানিয়েছেন শাকিব।

সম্প্রতি কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের একটি ভিডিওতে শাকিব খান মজা করে বলেন, তোমার অনেকগুলো ভ্লগ দেখলাম আমার ভবিষ্যৎ নায়িকার সঙ্গে, হানিয়ার সঙ্গে।

পাশ থেকে একজন জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, একটা সিনেমা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শাকিব–ভক্তদের মাঝে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কোন ছবিতে হানিয়া আমিরকে দেখা যেতে পারে এ ব্যাপারে শাকিব এখনও কিছু নিশ্চিত করেননি।

তবে ভক্তরা ইতিমধ্যে ধারণা করা শুরু করেছেন। কারও মতে, ‘প্রিন্স’ ছবিতে শাকিব–হানিয়া জুটি দেখা যেতে পারে। আবার কেউ বলছেন, ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা নতুন রোমান্টিক ছবিটিতেও থাকতে পারেন তিনি।

উল্লেখ্য, ‘সোলজার’ ছবির শুটিং শেষ করে শাকিব খান ডিসেম্বর থেকে ‘প্রিন্স’ সিনেমার শুটিং শুরু করবেন। এরপর আগামী বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি আজমান রুশো পরিচালিত আরেকটি নতুন ছবির কাজে অংশ নেবেন, যার নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সেই ছবির নায়িকা হিসেবে একেবারে নতুন মুখ নেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানা গেছে।

You cannot copy content of this page