ময়মনসিংহ “পাসপোর্ট অফিসে এডি জামালের দুর্নীতির আগুনঃ দুদকের চোখের সামনে চলছে ‘ঘুষ সাম্রাজ্য’!”
জনসেবার প্রতিশ্রুতি ছিল দুর্নীতিমুক্ত সেবা—কিন্তু ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এখন চলছে খুল্লামখুল্লা ঘুষের সম্রাজ্য। এই সরকারি দপ্তরটি যেন পরিণত হয়েছে এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত বাণিজ্য কেন্দ্রে—যার নাম উপ-সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন!
হ্যাঁ—সবার আড়ালে,এই জামালই দালাল সিন্ডিকেটের মূল নায়ক। তার নির্দেশ ছাড়া এখানে কোনো আবেদন নড়ে না,পাসপোর্ট পাওয়া তো দূরের কথা! জনগণের টাকা,জনগণের সেবা—তবু জামালের অহংকারের দাম দিতে হয় কেন? সরাসরি আবেদন মানেই হয়রানি! জামালের ছত্রছায়ায় কর্মকর্তারা একের পর এক অজুহাতে আবেদন আটকে দেন! আবেদনকারীরা বলেন—“জামালের ইশারা ছাড়া কোনো আবেদন সামনে এগোয় না!” প্রতিদিন লাখে লাখে ঘুষ উঠছে,আর মাস শেষে সেই টাকা যাচ্ছে সেই জামাল–মহোদয়ের টেবিলেই! রহিম নয়—সব কিছুর মাস্টারমাইন্ড জামাল! দালাল রহিম শুধু সামনের সারির বেসরকারি কর্মচারী;
তার বানানো গোপন কোড চিহ্ন ছাড়া কোনো ফাইল প্রক্রিয়ায় যায় না। অর্থাৎ—ঘুষ দিলে টিক মার্ক! ঘুষ না দিলে—বাতিল! এ যেন সরকারি অফিস না,জামালের নিজস্ব রাজ্য! –সাংবাদিকদেরও মাসে মাসে ঘুষ–জামালের ভয়ংকর ফন্দি! গোপন তদন্তে উঠে এসেছে— স্থানীয় কিছু সাংবাদিককে মাসিক বেতন দেওয়া হয় যাতে জামালের অপকর্মের রিপোর্ট প্রকাশ না হয়। দুর্নীতি ঢাকতে এটাই তার সবচেয়ে নোংরা কৌশল! দুদক অফিস পাশেই! কিন্তু জামালের সামনে সবাই নির্বাক! ময়মনসিংহ আঞ্চলিক দুদক অফিস ঠিক পাশের ভবনে। তবু তারা দেখেও না–দেখার ভান করে! জনগণ প্রশ্ন ছুড়ে—“দুদকের চোখে কি জামাল ধরা পড়ে না,নাকি জামালের টাকার জোরেই দুদক অন্ধ?” জামালের দাম্ভিকতা—আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন নিজেকে! যদিও এসব অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি নন–অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন! তার বক্তব্য—“সব অভিযোগ মিথ্যা–বানোয়াট ও উদ্দেশ্য–প্রনোদিত! তবে ভুক্তভোগীদের ভাষ্য— “জামালের দাপট এমন যে,সে বলে—আমাকে কেউ ছুঁতে পারবে না!” এটাই তার সবচেয়ে বড় অপরাধ—রাষ্ট্রকে উপহাস করা! জনরোষ:এবার সময় এসেছে কঠোর পদক্ষেপের! সচেতন মহল একটাই দাবি তুলেছে—জামালকে অবিলম্বে সাসপেন্ড ও বদলি করতে হবে! তার সম্পদের উৎস তদন্তে দুদককে মাঠে নামতেই হবে।
পাসপোর্ট অফিসে সেনা গোয়েন্দা বা শীর্ষ পর্যায়ের তদন্ত চাই! তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে—“আইনের ঊর্ধ্বে কোনো কর্মকর্তা নয়! জামালকে যদি উদাহরণ না বানানো হয়,দুর্নীতি কখনো থামবে না!” সরকারের প্রতি দৃঢ় আহ্বান: ঢাকা ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রকাশিত এই অনুসন্ধানের পর–জামালের চাকরি রক্ষা করা রাষ্ট্র ও জনতার ওপর এক প্রকার ব্যঙ্গ! এডি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমেই সরকারকে প্রমাণ করতে হবে—দুর্নীতির জায়গা কোথাও নেই!

আপনার মতামত লিখুন