সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেলের আস্থাভাজন ঘুষ ও দূর্নীতির মাষ্টারমাইন্ড নাটোর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল এখন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুর আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টায় মরিয়া
নাটোর সদর মডেল উপজেলা ভূমি অফিসে এখন চলছে সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল আলমের রমরমা ঘুষ দূর্নীতি আর অভিনব বাণিজ্য। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। রহস্যজনক কারণে এসিল্যান্ড শ্রীযুক্ত বাবু কৃষ্ণ চন্দ্রও নিশ্চুপ।
নামজারী, এপি, ভিপি, এলএ, পেরীফেরীভূক্ত, ফিরনিবাস, হাট চাঁদনী, জলমহাল, বালু মহাল বরাদ্দ নবায়ন আর জমির তদন্ত রিপোর্টের নামেও চলছে সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল আলমের নগ্ন বাণিজ্য।
ভালো মানুষের মুখোশের অন্তরালে তার এই ঘুষ দুর্নীতির ফিরিস্তি দেখে সাধারণ ভূক্তভোগীরা বিস্মিত।
এই অফিসকে ঘিরে সার্ভেয়ারের সৃষ্ট সংঘবদ্ধ দালাল সিন্ডিকেটের কারণে এই ভূমি অফিস এখন পরিণত হয়েছে তাঁর ঘুষ দুর্নীতি আর লুটপাট বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে।।
এতে ব্যক্তিগতভাবে সার্ভেয়ার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।। এছাড়া বিতাড়িত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সে তার কর্মস্থলগুলোতে নিজস্ব ক্ষমতার বলয় সৃষ্টি করে এবং নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার কাছের মানুষ পরিচয় দিয়ে নামে বেনামে গড়েছেন টাকার পাহাড়।৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে তিনি ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাদের সাথে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একজন অফিস কলিগের।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেলের আস্থাভাজন ঘুষ ও দূর্নীতির মাষ্টারমাইন্ড নাটোর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মঞ্জুরুল এখন ভোল পালটিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুর আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
কয়েকজন ভূক্তভোগী অভিযোগ তুলে বলেন, সার্ভেয়ার মো. শহীদুল ইসলাম বিভিন্ন ইউনিয়নের স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন খাস জমিসহ একজনের জমি অন্যজনের নামে নামজারী ও জমা খারিজ করে দিচ্ছে। এতে করে উভয় পক্ষের মাঝে বাড়ছে সংঘর্ষ। মামলা মোকদ্দমা গড়াচ্ছে থানা ও আদালতে।
তাঁর এসব অবৈধ ঘুষ বাণিজ্য বন্ধে তাঁকে এই অফিস থেকে অপসারণ ও তাঁর অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশী নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মহোদয় সহ দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

আপনার মতামত লিখুন