খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

সিটিসি ডাঃ গোলাম রব্বানীর পরিকল্পিত লুটপাটঃ বিশ্বব্যাংকের ৫,৩৮৯ কোটি টাকার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
সিটিসি ডাঃ গোলাম রব্বানীর পরিকল্পিত লুটপাটঃ বিশ্বব্যাংকের ৫,৩৮৯ কোটি টাকার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পে দুর্নীতি
43

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) বাংলাদেশের বৃহত্তম সরকারি উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের মোট বাজেট ৫,৩৮৯,৯২.৪৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের পশুপালন ও দুগ্ধ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা এবং সমগ্র দেশে কসাইখানা, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারা দেখাচ্ছে, এখানে নিয়ম-নীতি না মানা, দুর্নীতি ও পরিকল্পিত লুটপাটকে কেন্দ্র করে একটি ভয়ঙ্কর অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে।

প্রকল্পের দায়িত্বশীল সংস্থা ও মন্ত্রণালয় বারবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মুখোমুখি হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকল্পের সিটিসি ডাঃ গোলাম রব্বানীকে দায়ী করে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা মূল্যের ক্রয় কার্যক্রমকে ব্যর্থ ও অনিয়মিতভাবে পরিচালনা করছেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, সরকারের পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী ক্রয় ও প্রকল্প পরিচালনার নিয়মনীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর একাধিকবার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে: অভিযুক্তদের মাধ্যমে তদন্ত এবং প্রতিবেদন তৈরি। প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও মেশিনারির ক্রয়ে অনিয়ম। দরপত্র আহ্বান ও প্যাকেজ নির্ধারণে স্বচ্ছতার অভাব। ডাঃ গোলাম রব্বানী এই প্রকল্পের সিটিসি হিসেবে দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও প্রকল্পের নানা অনিয়মে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষত, প্রকল্পের অর্থায়ন ও ক্রয় কার্যক্রমকে তিনি এমনভাবে পরিচালনা করেছেন যা সরকারের নিয়মানুযায়ী নয় এবং যেখানে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে লোপ পাচ্ছে।

প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও ক্রয়ে অনিয়ম : প্রকল্পের অধীনে শত শত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও মেশিনারি সরবরাহ করা হয়নি বা নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করা হয়েছে, যদিও সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি আজও প্যাকেটবন্দী বা অকেজো অবস্থায় রয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা জানান, ডাঃ গোলাম রব্বানী প্রকল্পের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অনিয়মের পরিকল্পনা করেন। এই অনিয়মের মাধ্যমে প্রকল্পের বাজেটের এক বিশাল অংশ সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে না, বরং প্রশাসনিক জটিলতা ও কর্মকর্তাদের নীরবতা দিয়ে এটি কেবল ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে।

কসাইখানা নির্মাণে অস্বাভাবিকতা : ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনার মেট্রো এলাকায় উন্নতমানের কসাইখানা নির্মাণ/স্থাপনের জন্য ২০২৪ সালের ৬ জুনে প্যাকেজ নং এলডিডিপি/ডব্লিউ-৮৫,৮৬,৮৭ অনুযায়ী তিনটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রত্যেক কসাইখানার প্রাক্কলিত খরচ: ৯৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। মূল ডিপিপি অনুযায়ী তিনটি কসাইখানার ব্যয়: ২৪৯ কোটি টাকা। সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী একই কাজের ব্যয়: ২৯৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ব্যয় নির্ধারণে ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার পার্থক্য কোনও ব্যাখ্যার অনুপস্থিতি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করছে যে, এখানে পরিকল্পিতভাবে দর বাড়ানো হয়েছে।

ডাঃ গোলাম রব্বানী সরাসরি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রকল্পের প্যাকেজকে তিনটি পৃথক দরপত্রে ভাগ করা হয়েছে যাতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ক্রয় কমিটির অনুমোদন এড়িয়ে যাওয়া যায়। এটি সরাসরি আর্থিক বিধি লংঘন এবং দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। এলডিডিপির পূর্ববর্তী কার্যক্রমও অনিয়মের দ্বারা দাগাকৃত। প্যাকেজ নং জি-৯৭, জি-৯৮, জি-৯৯ ও জি-১০০ মাধ্যমে মোট ২৫৪ কোটি ৬৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করা হয়। সেই সময়ও ডাঃ গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে ক্রয় কার্যক্রম পিপিআর লঙ্ঘন করে পরিচালিত হয়। প্রকল্পের অধীনে ৮-১০টি ক্রয় কার্যক্রমে আরও লঙ্ঘন লক্ষ্য করা গেছে। কর্মকর্তারা জানান, ডাঃ গোলাম রব্বানী প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিল রেখে নিজের প্রভাব ব্যবহার করে অনিয়ম চালিয়ে আসছেন। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে ডাঃ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তবুও সচিব, মন্ত্রী এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
প্রকল্পের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “প্রকল্পের সিটিসি ডাঃ গোলাম রব্বানীকে নাড়িয়ে অভিযোগ করলেও কার্যকর ফল পাওয়া যায় না।” এমনকি সচিব ও মন্ত্রীর নিকটও জি-৯৭ ও জি-১০০ প্যাকেজ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি সাপেক্ষে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তবুও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বা স্থাপিত যন্ত্রপাতি অকেজো থাকার কারণে কোটি কোটি টাকা বেহাত হচ্ছে। কসাইখানা নির্মাণে অনিয়মের কারণে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে, সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাঃ গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে এলডিডিপি প্রকল্পে যে ধারা গড়ে উঠেছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়ম নয়; এটি প্রশাসনিক দুর্নীতি ও পরিকল্পিত লুটপাটের এক চিত্র। প্যাকেজ ভাঙা, দর বাড়ানো, পিপিআর লঙ্ঘন, কর্মকর্তাদের নীরবতা—সব মিলিয়ে এক গভীর দূর্বলতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক সহায়ক সংস্থা হিসেবে প্রকল্পে তদারকি করলেও কার্যকর মনিটরিং করতে ব্যর্থ। সরকারের মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উদাসীনতা প্রকল্পকে আরো দুর্নীতিপূর্ণ করে তুলেছে।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page