খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বেঃ রানা-জাহাঙ্গীর-রুরেল দালাল চক্রের ‘ম্যানেজ খরচ’ নামে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১৬ অপরাহ্ণ
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বেঃ রানা-জাহাঙ্গীর-রুরেল দালাল চক্রের ‘ম্যানেজ খরচ’ নামে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ
40

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নাগরিক জীবনের অপরিহার্য দলিল—ব্যাংক হিসাব খোলা, জমি কেনাবেচা, পাসপোর্ট, ভোটার তালিকা এমনকি চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও এটি এখন অপরিহার্য। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পড়ছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে এক প্রভাবশালী দালালচক্র, যাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বারবার।

রানা, জাহাঙ্গীর ও রুরেল সিন্ডিকেট :
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন অফিসের আশপাশে অবস্থানরত রানা নামে এক দালাল দীর্ঘদিন ধরে এনআইডি সংশোধন, পুনঃপ্রদান ও দ্রুত কার্ড সরবরাহের নামে অর্থ আদায় করে আসছে। রানার সঙ্গে অফিসের ভেতরে যোগসাজশে কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে কর্মচারী জাহাঙ্গীর ও রুরেল নামে দুই জনের বিরুদ্ধে। আবেদনকারীর ফাইল আটকে রাখা, অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করানো এবং “ম্যানেজ খরচ” নামে অর্থ আদায়—সবকিছুই চলে তাদের মাধ্যমেই। একাধিক ভুক্তভোগীর দাবি, এই তিনজনের কার্যক্রমে নির্বাচন অফিস কার্যত দালালনির্ভর বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

প্রবাসীদের ঘাড়ে দুর্ভোগ :
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে এনআইডি সংশোধন ও পুনঃপ্রদানের চাহিদা বেশি। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মনোয়ারা খাতুন জমির কাগজপত্র ঠিক করতে দেশে এসে এই চক্রের ফাঁদে পড়েন। তিনি জানান, “রানা নামে এক লোক এসে বলল, ভেতরের লোকজনকে ম্যানেজ না করলে মাসের পর মাস লেগে যাবে। বাধ্য হয়ে দশ হাজার টাকা দিয়েছি। তিন দিনের মধ্যে কপি এনে দিল, কিন্তু জানি না নিয়মমাফিক হয়েছে কিনা।” একইভাবে কুয়েতপ্রবাসী শাহিন আহমদ বলেন, “চার দিন ঘুরেও কাজ হয়নি। শেষে এক দালালকে আট হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।”

ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে সক্রিয় দালালচক্র :
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফরহাদ হোসেনের অবহেলা ও দুর্বল নজরদারির সুযোগে এই দালালচক্র দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অফিসের সামনে প্রতিদিন রানা ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে অবস্থান করে আবেদনকারীদের ধরছে, টাকা নিচ্ছে—কিন্তু প্রশাসনিক কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ এদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানে, তবুও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, “দালালরা সুযোগ নেয়। কিছু কর্মচারীও এতে জড়িত থাকে। জনবল সীমিত হওয়ায় অফিসে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।”

তিন ধাপে চলে দালালদের বাণিজ্য :
স্থানীয় সূত্রে দালালচক্রের কার্যক্রম তিন ধাপে পরিচালিত হয়-

প্রথম ধাপ: অফিসের বাইরে অবস্থান করে আবেদনকারীর সমস্যা জেনে দ্রুত সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া।
দ্বিতীয় ধাপ: ভেতরের কর্মচারীর মাধ্যমে ফাইল অগ্রাধিকার পাওয়া বা আটকে রাখা।
তৃতীয় ধাপ: ‘ম্যানেজ খরচ’ নামে টাকা লেনদেন, যার একটি অংশ জাহাঙ্গীর-রুরেলদের মাধ্যমে অফিসের ভেতরে পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ।

আরও উদ্বেগজনক অভিযোগ হলো, এই দালালচক্রের মাধ্যমে ভুয়া এনআইডিও তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু রোহিঙ্গা ও অননুমোদিত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি এনআইডি পাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এটি শুধু দুর্নীতি নয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি।”

অফিসের ভেতরে বিশৃঙ্খলা ও সার্ভার অজুহাত :
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই শতাধিক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে। কেউ বলছেন সার্ভার কাজ করছে না, কেউ অফিসারের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় কয়েকজন দালাল প্রকাশ্যে আবেদনপত্র পূরণ ও ‘দ্রুত কাজ করে দেওয়ার’ প্রস্তাব দিতে দেখা যায়।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রার বড় উৎস। তাদের হয়রানি মানে অর্থনীতিকে আঘাত করা। দালালচক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত ও জবাবদিহি জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “প্রযুক্তিনির্ভর সেবাকাঠামো গড়ে না তুললে এই চক্র থামবে না।”

সিলেট জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুঞ্জুরুল আলম বলেন, “আমরা দালালদের প্রশ্রয় দিই না। কেউ প্রতারিত হলে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, “মাঠ পর্যায়ে বাস্তব ব্যবস্থা না নিলে কোনো পরিবর্তন হবে না।”

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, “প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কিছু কর্মচারী আর্থিক সুবিধা নিয়ে দালালদের মাধ্যমে কাজ করায়—এমন অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন চাইলে এদের চিহ্নিত করা কঠিন নয়।” রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের প্রতীক এনআইডি আজ দালালদের কবলে বন্দি। রানা, জাহাঙ্গীর ও রুরেলের মতো ব্যক্তিরা সরকারি সেবাকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফরহাদ হোসেনের অবহেলা ও দুর্বল তদারকির কারণে এই চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়।
প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা ও কঠোর প্রশাসনিক অভিযান ছাড়া দালালচক্রের এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করা সম্ভব নয়।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page