খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

হারুন অর রশিদ রুবেল বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল -১ দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ
হারুন অর রশিদ রুবেল বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল -১ দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক
48

বিআরটিএ-এর দালালি করে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে মো: হারুন অর রশিদ রুবেল (৩৫) কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিআরটিএ-এর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় এসব বিপুল অর্থের সম্পদের মালিক বনেছেন তিনি। বিআরটিএ-এর গাড়ির মালিকানা বদল, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত লেনদেন থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সামান্য দিনমজুরের বড় ছেলে রুবেল কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

তিনি ঢাকায় ফ্ল্যাট, গাড়ি ছাড়াও নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। দিনমজুর মো: অহিদুর রহমান তালুকদারের বড় ছেলে রুবেল দারিদ্র্যের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১১ সালে মামার হাত ধরে ঢাকায় পা রাখেন। প্রথমে তিনি মিরপুর বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল -১ সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) জামাল উদ্দিনের বহিরাগত অফিস পিয়ন হিসেবে চা ও ফাইলপত্র এনে দেওয়ার কাজ করতেন। এক বছর কাজ করার পর র‍্যাং স মোটরসের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সেখান থেকে তিনি কোম্পানিটির ট্রান্সপোর্ট বিভাগে যুক্ত হন। দুই বছরের মতো কাজ করার সময় তিনি রেজিস্ট্রেশনের বডি ভ্যাটের কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি র‍্যাং স কর্তৃপক্ষ জানার পর তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। পরে দুই বছরের বেকার জীবন পার করে রুবেল বিআরটিএ-এর পাশে অনলাইন ব্যাংকিং জমার জন্য ‘শাহারাস্তি বিজনেস সেন্টার’ নামে একটি দোকান ভাড়া নেন, যেখান থেকে আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি একটি চক্র গড়ে তোলেন। এই চক্রের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে বিআরটিএ-এর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় যখন গ্রাহকের গাড়িগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে থাকে, তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্যাক্স টোকেনের বিআরটিএ-এর কোষাগারে মাত্র ৫২ টাকা জমা দিয়ে কয়েক ‘শ’ গ্রাহকের গাড়ীর ইনকাম ট্যাক্সের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর পরবর্তীতে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমেও চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এর মধ্যে গত ১৫ মে ২০২৩ সালে র‍্যাবের অভিযানে কয়েকজনকে আটক করা হলেও মূল আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। চক্রটি এখনও বিআরটিএ-তে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর সঙ্গে বিআরটিএ-এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। তাদের যোগসাজশে একজনের টিন সার্টিফিকেট আরেক জনের নামে দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে রুবেল ফ্ল্যাট, গাড়ি ও নারীর নামেও সম্পদ গড়েছেন। রুবেলের স্ত্রীর নামেও রয়েছে ৮টি সিএনজি গাড়ি, আর রুবেলের নামে রয়েছে ৭টি সিএনজি ও ১টি মাইক্রোবাস। এছাড়া নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। রুবেলের ফ্ল্যাটের বিবরণ: সেনপাড়া পর্বতা কাফরুল ফ্ল্যাট নং ৩৩১/২/৩, এবং মিরপুর শাহআলী প্লাজা তৃতীয়তলা শাহরাস্তী টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স দোকান নং-২০।

রুবেলের ক্রয়কৃত গাড়ির বিবনণ: ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৯০৭ (ক্রয়: ১৬/০৫/২০২২, ৭ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৪৩৮ (ক্রয়: ১৬/০২/২০২৩, ৮ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৯৩২ (ক্রয়: ২০/০৩/২০২৩, ১০ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৮২৯ (ক্রয়: ১১/১১/২০২৪, ১০ লাখ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৬০৩ (ক্রয়: ২২/০৪/২০২৫, ৭ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-২৮০৮ (১০ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- চ- ১২-৭৫৫২ (মাইক্রোবাস, ৩০ লাখ টাকায়)। যদিও এক একটি সিএনজি’র বাজার মূল্য ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে, এক্ষেত্রেও রুবেল দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। কাগজে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা দেখানো হলেও গাড়িগুলো কেনা হয়েছে বাজারমূল্যর দামেই। রুবেলের টিন নাম্বার-১৭৩৩০০২৩৯৬০১৮, ইস্যুর তারিখ মার্চ ০৯/২০২০। রুবেল ২০১৪ সালে তানিয়া আক্তারকে বিবাহ করেন। শ্বশুর কৃষক হলেও রুবেলের বদৌলতে এখন তিনিও কোটি টাকার মালিক। রুবেলের স্ত্রীর নামেও রয়েছে ৮টি সিএনজি। তানিয়া আক্তারের সম্পদের বিবরণ: ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৪০১ (ক্রয়: ২০/০৬/২০২১, ৬ লাখ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৪৪৭ (ক্রয়: ২০/০৬/২০২১, ৬ লক্ষ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৪৪৫ (ক্রয়: ২০/০৬/২০২১, ৭ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৬-৪৪৫২ (ক্রয়: ২০/০৬/২০২১, ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৫-০৫২৪ (ক্রয়: ২৮/০৬/২০২২, ৭ লাখ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৫-০৫০৮ (ক্রয়: ১৫/০৩/২০২২, ৮ লাখ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৫-০৫০৭ (ক্রয়: ১৫/০৩/২০২২, ৭ লাখ টাকায়); ঢাকা মেট্রো- থ- ১৫-০৫২৫ (৭ লাখ টাকায়)। ২৭ বছর বয়সে স্বামীর বদৌলতে তিনিও কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাঁর টিন সার্টিফিকেট নাম্বার-৩৭৪১৫১২৪৪৩৫৩, ইস্যুর তারিখ জুন /০৭ /২০২১।

এখানেও প্রতিটি সিএনজি’র বাজারদর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হলেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক দিন পরপর লোক দেখানো অভিযানের মধ্যে দিয়ে এইসব রুবেলরা আড়ালে থেকে যায় এবং তাদের কাছেই লাখো সেবা গ্রহীতা বন্দি থাকে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দ্রুত এইসব রুবেলদের মতো প্রতারকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং বিআরটিএ-কে দালাল মুক্ত করে সেবার গ্রহীতাদের ভোগান্তি লাঘব করা হোক, এটাই তাদের প্রত্যাশা।

অভিযোগের বিষয়ে হারুন অর রশিদ রুবেল এর মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটি কেটে দেন ।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page