খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ
বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা
67
  • ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিএনপির
  • বেগম খালেদা জিয়া লড়বেন তিন আসনে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১
  • প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসনে

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকালে এই তালিকা ঘোষণা করা হয়। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে গতকাল বেলা ১২টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপি নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ এই তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসনে।

তারেক রহমান এই প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে ভোটের ময়দানে লড়াই করবেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী রংপুর বিভাগ থেকে বিএনপির প্রাথমিক তালিকায় আছেন— পঞ্চগড়-১: ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ ,পঞ্চগড়-২: ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩: (পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলা) মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জাহিদ, দিনাজপুর-১: মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২: মোহাম্মদ সাদিক রিয়াজ, দিনাজপুর-৩: (দিনাজপুর সদর) বেগম খালেদা জিয়া, দিনাজপুর-৪: মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান মিয়া, দিনাজপুর-৬: অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নীলফামারী-২: এইচ এম মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ রুবেল, নীলফামারী-৪: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর সরকার, লালমনিরহাট-১: মোহাম্মদ হাসান রাজিব প্রধান, লালমনিরহাট-৩: আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-১: মোকাররম হোসেন সুজন, রংপুর-২: মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩: শামসুজ্জামান শামু, রংপুর-৪: মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৫: মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, রংপুর-৬: মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১: সাইফুল ইসলাম রানা, কুড়িগ্রাম-২: মোহাম্মদ সোহেল হোসেন কাইকোবাদ, কুড়িগ্রাম-৩: তাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, গাইবান্ধা-১: খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী, গাইবান্ধা-২: আনিসুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা-৩: (সাদুল্লাপুর) অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মাইনুল হাসান সাদিক, গাইবান্ধা-৪: মোহাম্মদ শামীম কায়সার, গাইবান্ধা-৫: মোহাম্মদ ফারুক আলম সরকার।

রাজশাহী বিভাগ থেকে ঘোষিত তালিকায় আছেন— জয়পুরহাট-১: মোহাম্মদ মাসুদ রানা প্রধান, জয়পুরহাট-২: আব্দুল বারী, বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার, বগুড়া-৪: মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫: মোহাম্মদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬: তারেক রহমান, বগুড়া-৭: বেগম খালেদা জিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, নওগাঁ-১: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২: মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩: মোহাম্মদ ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ-৪: ইকরামুল বারী টিপু, নওগাঁ-৬: মোহাম্মদ শেখ মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, রাজশাহী-১: মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন, রাজশাহী-২: মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩: মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪: ডিএমডি জিয়াউর রহমান, রাজশাহী-৫: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, রাজশাহী-৬: আবু সাঈদ চাঁদ, নাটোর-১: ফারজানা শারমিন, নাটোর-২: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৪: মাহমুদ আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-২: ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩: ভিপি আইনুল হক, সিরাজগঞ্জ-৪: (উল্লাপাড়া) এম আকবর আলী, সিরাজগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৬: এম এ মুহিত, পাবনা-২: এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩: মোহাম্মদ হাসান জাফির তুহিন, পাবনা-৪: হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা-৫: মোহাম্মদ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

খুলনা বিভাগের তালিকায় আছেন— মেহেরপুর-১: মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২: মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-১: রেজা আহমদ, কুষ্টিয়া-২: রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩: মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪: সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১: মোহাম্মদ শরিফুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা-২: মাহমুদ হাসান খান, ঝিনাইদহ-৩: মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, যশোর-১: মোহাম্মদ মাফিদুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২: মোহাম্মদ সাবিরা সুলতানা, যশোর-৩: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪: টি এস আইয়ুব, যশোর-৬: কাজী রওনকুল ইসলাম, মাগুরা-১: মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মাগুরা-২: নিতাই রায় চৌধুরী, নড়াইল-১: বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা-২: নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩: রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪: আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫: মোহাম্মদ আলী আসগর, খুলনা-৬: মনিরুল হাসান বাপ্পি, সাতক্ষীরা-১: হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২: আব্দুর রউফ, সাতক্ষীরা-৩: কাজী আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরা-৪: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

বরিশাল বিভাগ থেকে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় আছেন— বরগুনা-১: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মোল্লা, বরগুনা-২: নুরুল ইসলাম মনি, পটুয়াখালী-১: এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৪: (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা) এবিএম মোশারফ হোসেন, ভোলা-১: গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা-২: মোহাম্মদ হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ভোলা-৪: মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, বরিশাল-১: জহিরউদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২: সরদার সাইফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৪: মোহাম্মদ রাজিব হাসান, বরিশাল-৫: মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান সারোয়ার, বরিশাল-৬: আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-২: ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, পিরোজপুর-২: আহমেদ সোহেল মঞ্জুর, পিরোজপুর-৩: মোহাম্মদ রুহুল আমিন দুলাল।

ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় আছেন— টাঙ্গাইল-১: (মধুপুর) ফকির মাহবুব আলম স্বপন, টাঙ্গাইল-২: আব্দুস সালাম পিন্টু, টাঙ্গাইল-৩: এ এস এম ওবায়দুল হক, টা?ঙ্গাইল-৪: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৬: রবিউল আউয়াল লাবলু, টাঙ্গাইল-৭: আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আজম খান, জামালপুর-১: এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জামালপুর-২: সুলতান মাহমুদ বাবু, জামালপুর-৩: মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪: মোহাম্মদ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫: মোহাম্মদ ওয়ারেস আলী মামুন, শেরপুর-১: সানসিলা জেবরিন, শেরপুর-২: মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী, শেরপুর-৩: মোহাম্মদ মাহমুদুল হক রুবেল, ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ ইমরান সালেহ, ময়মনসিংহ-২: মোতাহার হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ-৩: এম ইকবাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৫: মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-৬: মোহাম্মদ আখতারুল আলম, ময়মনসিংহ-৭: ডাক্তার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৮: লুৎফুল্লাহেল মাজেদ, ময়মনসিংহ-৯: ইয়াসের খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১: ফখরুদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনা-১: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-২: মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩: রফিকুল ইসলাম হিলালী, নেত্রকোনা-৪: লুৎফুজ্জামান বাবর, নেত্রকোনা-৫: আবু তাহের তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-২: অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জালালউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩: ডক্টর ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪: মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৬: মোহাম্মদ শরিফুল আলম, মানিকগঞ্জ-২: মাইনুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-৩: আফরোজা খান রিতা, মুন্সীগঞ্জ-১: শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জ-২: মিজানুর রহমান সিনহা, ঢাকা-১: খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২: আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫: নবিউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১১: এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২: সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৪: সাজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫: শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬: আমিনুল হক, ঢাকা-১৯: ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, গাজীপুর-২: মনজুরুল করিম রনি, গাজীপুর-৩: অধ্যাপক ডাক্তার এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর-৪: শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫: ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী-১: খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-২: ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৪: সরদার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নরসিংদী-৫: ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফউদ্দিন বকুল, নারায়ণগঞ্জ-১: মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু, নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৫: মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, রাজবাড়ী-১: আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, ফরিদপুর-২: শামা ওবায়েদ ইসলাম, ফরিদপুর-৩: নায়াব ইউসুফ আহমেদ, ফরিদপুর-৪: শহিদুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ-১: মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান মোল্লা, গোপালগঞ্জ-২: ডাক্তার কে এম বাবর, গোপালগঞ্জ-৩: এস এম জিলানী, মাদারীপুর-১: কামাল জামান মোল্লা, মাদারীপুর-৩: আনিসুর রহমান, শরীয়তপুর-১: সাইয়েদ আহমেদ আসলাম, শরীয়তপুর-২: শফিকুর রহমান, শরীয়তপুর-৩: মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু ।

সিলেট বিভাগ থেকে— সুনামগঞ্জ-১: আনিসুল হক, সুনামগঞ্জ-৩: মোহাম্মদ কায়সার আহমেদ, সুনামগঞ্জ-৫: কালিমুদ্দিন মিলন, সিলেট-১: খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সিলেট-২: মোসাম্মৎ তাহসিনা রুশদী, সিলেট-৩: মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সিলেট-৬: ইমরান আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১: নাসিরউদ্দিন আহমেদ মিঠু, মৌলভীবাজার-২: শওকত হোসেন শকু, মৌলভীবাজার-৩: নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪: মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২: আবু মনসুর শাখাওয়াত হাসান জীবন, হবিগঞ্জ-৩: আলহাজ মোহাম্মদ জি কে গউছ, হবিগঞ্জ-৪: এস এম ফয়সাল।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে প্রার্থী তালিকায় আছেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: এম হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: খালেদ হোসেন মাহবুব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: মুশফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা-১: ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৩: কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসাইন কায়কোবাদ, কুমিল্লা-৪: মনজুরুল ইসলাম মুন্সী, কুমিল্লা-৫: মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা-৬: মোহাম্মদ মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা-৮: জাকারিয়া তাহের, কুমিল্লা-৯: মোহাম্মদ আবুল কালাম, কুমিল্লা-১০: মোহাম্মদ আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, কুমিল্লা-১১: মোহাম্মদ কামরুল হুদা, চাঁদপুর-১: আনম এহসানুল হক মিলন, চাঁদপুর-২: মোহাম্মদ জালালউদ্দিন, চাঁদপুর-৩: শেখ ফরিদ হোসেন, চাঁদপুর-৪: মোহাম্মদ হারুন রশিদ, চাঁদপুর-৫: মোহাম্মদ মমিনুল হক, ফেনী-১: বেগম খালেদা জিয়া, ফেনী-২: জয়নাল আবেদীন, ফেনী-৩: আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-১: ব্যারিস্টার এস মাহবুব উদ্দিন, নোয়াখালী-২: জয়নাল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩: মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪: মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬: মাহমুদুর রহমান শামীম, লক্ষ্মীপুর-২: মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভুইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩: শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম-১: নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২: সরোয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪: কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫: মীর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭: হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮: এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২: মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩: সারওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬: মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, কক্সবাজার-১: সালাহউদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার-৩: লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪: শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি: আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া, রাঙ্গামাটি: দীপেন দেওয়ান, বান্দরবান: সাচিং প্রু।

আসন্ন নির্বাচনে ২৩৭ জনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ৯ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এখনো যে ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তার বেশ কিছু আসন মিত্র দল ও জোটভুক্ত দলের শীর্ষ নেতাদের জন্য ছাড় দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণা হয়নি অনেক হেভিওয়েট ও আলোচিত প্রার্থীর। এর মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির পঞ্চগড়-১ আসন থেকে প্রার্থী হলেও তালিকায় নেই জমিরউদ্দিন সরকার। এছাড়া রফিকুল ইসলাম মিয়া ও নজরুল ইসলাম খানের পাশাপাশি সেলিমা রহমান প্রথম দফার তালিকায় নেই। আলোচনায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু ও আসাদুজ্জামান রিপন বাদ পড়েছেন প্রার্থী তালিকা থেকে।

আলোচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। এছাড়া প্রার্থী তালিকায় নেই তিন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবিরের নাম। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নামও অন্তর্ভুক্ত হয়নি ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page