খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভূমি সহ-কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভূমি সহ-কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ
44

নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ও কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে নামজারি ও ভূমি সংক্রান্ত কাজে ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না এমন অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. রহিদুল ইসলাম, যিনি সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ উঠছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, “আমি আন্তরিকভাবে কাজ করি, মানুষকে সহযোগিতা করি। ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।” কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। এলাকাবাসীর মতে, প্রসাদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এখন যেন এক ‘ঘুষের বাজার’।

নামজারির কাজে ২৫ হাজার টাকার ঘুষ দাবি : মান্দা উপজেলার পার-ইনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল হোসেন মাস্টার সম্প্রতি নিজের জমির তিনটি নামজারি কাজের জন্য আবেদন করেন। তার অভিযোগ, ওই কাজের জন্য রহিদুল ইসলাম তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে উপজেলা ভূমি অফিসের নামে আরও সাড়ে সাত হাজার টাকা দাবি করেন। আবুল হোসেন বলেন, “আমি ৭ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাকি ৫০০ টাকা দিতে না পারায় তিনি রাগ করে বলেন, ‘এটা উপজেলা অফিসে দিতে হবে, না দিলে কাজ হবে না।’ টাকা না দিলে ফাইল আটকিয়ে রাখেন। শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে কাজ শেষ হয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, টাকা নেওয়ার পরও রহিদুল ইসলাম বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন— বারবার কাগজপত্র ফেরত পাঠানো, নতুন করে ফি দাবি, এমনকি জমির খতিয়ান বদলে দেওয়ার হুমকিও দেন।

প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন, “এই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে বলে, নামজারির জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে বা হয়রানি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ভূমি অফিস, তাই মানুষের কান্না চোখে দেখা যায়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।” চেয়ারম্যানের মতে, ভূমি অফিস এখন জনসেবার জায়গা না হয়ে ঘুষ বাণিজ্যের আখড়াতে পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য সেবা না পেয়ে বাধ্য হচ্ছে ঘুষ দিতে, যা প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচায়ক।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, “আবুল মাস্টার আমার বাবার মতো মানুষ। আন্তরিকভাবে তার কাজ করেছি।” তবে ঘুষ নেওয়া বা অতিরিক্ত টাকা দাবি করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান। পরে দেখা করার প্রস্তাব দেন, যা স্থানীয়দের কাছে ‘প্রচলিত এড়ানোর কৌশল’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি প্রায়ই অভিযোগকারীদের ‘সমঝোতার’ প্রস্তাব দেন বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিল নওরোজ বৈশাখ বলেন, “নামজারির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এখনো আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি এমন অভিযোগ করে থাকেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে স্থানীয়দের দাবি, এসব অভিযোগের বেশিরভাগই ‘মৌখিক’ থেকে যায়। সাধারণ মানুষ ভয়ে লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পান না, কারণ তারা মনে করেন অভিযোগ দিলে তাদের ভবিষ্যতের ফাইল আটকে যাবে। মান্দা উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের মতোই প্রসাদপুর ও কাঁশোপাড়া ইউনিয়নেও নামজারি, খাজনা, হালনাগাদ বা দখলীয় খতিয়ান সংগ্রহের মতো কাজগুলো ঘুষ ছাড়া সম্ভব নয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রসাদপুর ইউনিয়নের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমার বাবার নামে খতিয়ান আছে। তার মৃত্যুর পর নামজারি করতে গেলে কর্মকর্তা ১৫ হাজার টাকা চান। সরকার নির্ধারিত ফি তো মাত্র কয়েকশ টাকা। এত টাকা কোথা থেকে দেব?”

আরেক সেবাগ্রহীতা হাসান আলী বলেন, “আমি প্রথমে ভাবছিলাম অফিসে গিয়ে সরকারি ফি দিয়ে কাজ করব। কিন্তু অফিসের পিয়নই আগে বলে দিল, ‘স্যারকে না দিলে কাজ হবে না।’ এরপর বুঝলাম— এখানে নিয়ম নয়, ঘুষই আইন।”
ভূমি সেবায় ডিজিটাল যুগেও পুরনো দুর্নীতি : সরকার ২০২৩ সালে সারাদেশে “ডিজিটাল ভূমি সেবা” চালু করে— যার মাধ্যমে নামজারি, খাজনা ও রেকর্ড সংশোধন অনলাইনে করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু মাঠ প্রশাসনে সেই উদ্যোগ তেমন কাজে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
মান্দা উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “অনলাইনে আবেদন করলেও ফাইল শেষে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার টেবিলেই আসে। সেখানে ঘুষ ছাড়া অনুমোদন পাওয়া খুব কঠিন। কারণ মাঠপর্যায়ে যে রিপোর্ট দিতে হয়, সেটা ওই কর্মকর্তার হাতে।” তিনি আরও বলেন, “উপরের কর্মকর্তারা জানেন কিন্তু লিখিত প্রমাণ না থাকলে ব্যবস্থা নিতে পারেন না।”

ঘুষ গ্রহণ বা অর্থ দাবি করা সরকারি কর্মচারীর জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ ও দণ্ডবিধি ১৬১ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইনে সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় ঘুষ নেওয়া বা প্রলোভন দেওয়ার জন্য ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, দেশে ভূমি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ সবচেয়ে বেশি আসে। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, দুদকে জমা হওয়া মোট অভিযোগের ৩২ শতাংশ ভূমি অফিস সম্পর্কিত। দুদকের সাবেক পরিচালক (গোপন অনুসন্ধান) একে এম ফজলুল হক বলেন, “নামজারির মতো সেবা ঘুষের ফাঁদে পড়ায় সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। যদি স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর নজরদারি ও ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করা যায়, তাহলে এমন অপরাধ কমবে।” মান্দা উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা বলছেন— ভূমি সেবা মানুষের মৌলিক নাগরিক অধিকার। অথচ সেই অধিকার এখন ‘ঘুষের খাতায় বন্দি’। সাবেক শিক্ষক মো. আতাউর রহমান বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আজ দেখছি সাধারণ কৃষককে জমির মালিক হতে ঘুষ দিতে হয়। এটা লজ্জার।”

স্থানীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রশাসন চাইলে তিন দিনের মধ্যে সত্য বের করা সম্ভব। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব আর অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের কারণে এসব কর্মকর্তা রেহাই পেয়ে যান।” স্থানীয়দের অভিযোগ- ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা একা কাজ করেন না; তাদের পেছনে আছে একটি অদৃশ্য ‘দালাল সিন্ডিকেট’, যারা অফিসের বাইরে বসে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা আগেই আবেদনকারীর কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে ফাইল তৈরি করে, পরে বলে— “স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে, একটু কিছু দিতে হবে।” সাধারণ মানুষ মনে করেন, টাকা দিলে কাজ দ্রুত হয়, তাই তারা নিরুপায় হয়ে দেন।

একজন দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “স্যাররা তো আমাদের কিছু বলেন না। আমরাই তাদের জন্য কাজ করি। যা পাই, ভাগাভাগি হয়। এটা ওপেন সিক্রেট।” স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে ঘুষ-দুর্নীতি চললেও কার্যকর নজরদারি না থাকায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযানের ঘোষণা দিলেও তা কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “একটা ঘুষের অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন। সাক্ষী পাওয়া যায় না। অনেক সময় ঘুষদাতা নিজের দায় এড়াতেও নীরব থাকে।”

মান্দার মানুষ এখন প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে একজন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার হাতে যেন পুরো ব্যবস্থার ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেটাই তাদের প্রত্যাশা। নামজারির মতো সাধারণ নাগরিক সেবায় যদি মানুষকে ঘুষ দিতে হয়, তবে উন্নত সেবা বা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন কেবল কাগজেই থেকে যাবে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বারেকের ভাষা- “মানুষ এখন সরকারি অফিসকে ভয় পায়। যতদিন ঘুষের সংস্কৃতি চলবে, ততদিন উন্নয়ন কেবল ভাষণেই সীমাবদ্ধ থাকবে।”

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page