খুঁজুন
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ
খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
60

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

তালিকা অনুযায়ী ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া। বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার একদিনের মাথায় এ তথ্য জানালো এনসিপি।

এদিকে, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি। এই সপ্তাহের মধ্যেই শ’খানেকের নাম প্রকাশ করা হবে।

স্বরূপকাঠীতে খেলার মাঠে স্কুল নির্মাণের নামে ইউএনওর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১:১৯ পূর্বাহ্ণ
   
স্বরূপকাঠীতে খেলার মাঠে স্কুল নির্মাণের নামে ইউএনওর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

স্বরূপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলার একটি সরকারি খেলার  মাঠের একাংশে ইটের দেয়াল দিয়ে টিনশেড ঘর তুলে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে নেছারাবাদ আইডিয়াল ইনস্টিটিউট নামের বিদ্যালয়। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ও সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. জাহিদুল ইসলাম নিজেই।

সরকারি জায়গায়, সরকারি লোগো ও প্যাড ব্যবহার করে গড়ে তোলা বিদ্যালয়টির সরকারি অনুমোদন নেই।

অথচ শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে ইউএনওর কার্যালয় থেকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউএনওর প্রভাব খাটিয়ে সহযোগিতার নামে ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও নির্মাণসামগ্রী।

উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি ‘স্টেডিয়াম মাঠ’ এলাকায় বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

সেখানে নতুন করে বিদ্যালয় নির্মাণের প্রয়োজন নেই এবং এটি মাঠ দখলের শামিল।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নেছারাবাদ উপজেলায় বর্তমানে ১৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।:

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন।

সম্প্রতি ‘সুশিক্ষার মানোন্নয়ন’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি মাঠের একাংশে ইট ও টিন দিয়ে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ওই নির্মাণকাজের জন্য ইউএনও স্থানীয় ইটভাটা, ক্লিনিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ ও নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন। উপজেলার আটটি ইটভাটা থেকে বিনামূল্যে প্রায় ৪০ হাজার ইট এবং বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পাঁচ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান নেওয়া হয়েছে।

আশা ব্রিকসের পরিচালক মো. অলি হাসান বলেন, ‘স্যার আমাদের ভাটায় ডেকে পাঁচ হাজার ইট চেয়েছিলেন। আমি আট হাজার দিয়েছি।

ইবিসি ব্রিকসের মালিক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, ‘সব ভাটা থেকেই পাঁচ হাজার করে ইট নেওয়া হয়েছে। শুনেছি বাজার কমিটি থেকেও ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।’

আবেদ আলী প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার সহযোগিতা করতে বলেছেন। না দিলে বিপাকে পড়তাম। তাই ২০ হাজার টাকা দিয়েছি।’ জাহানারা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ‘সরকারি কাজের নামে অনুদান দিতে হয়েছে।’

স্থানীয়রা বলছে, পুরো বিষয়টাই এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। এমনকি কয়েকজন অভিযোগকারীর বক্তব্যের অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয় নির্মাণে ব্যবহৃত কাঠের কিছু অংশ বনবিভাগের জব্দ করা গাছ থেকে আনা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সেই কাঠের কিছু অংশ ইউএনও অফিসের এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেছারাবাদ শাখার উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘১৬৯টি স্কুল থাকা অবস্থায় মাঠ দখল করে নতুন স্কুল বানানো অনৈতিক। তাও আবার সহযোগিতার নামে অর্থ তোলা, এটা আরো  অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুশিক্ষার মানোন্নয়নে আমি স্কুল করার উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেছেন।’ তবে তিনি কত টাকা বা কত পরিমাণ সামগ্রী সহযোগিতা হিসেবে পেয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি ইউএনও।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

You cannot copy content of this page