খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

মিঠাপুকুরে ‘ঘুষের’ বিনিময়ে জমির খাজনা কমিয়ে দেন ভূমি কর্মকর্তা আল- আমিন

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ণ
মিঠাপুকুরে ‘ঘুষের’ বিনিময়ে জমির খাজনা কমিয়ে দেন ভূমি কর্মকর্তা আল- আমিন
187

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমির খাজনা কমিয়ে দেওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন দুইজন ভুক্তভোগী।

‎বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

‎অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম আল- আমিন মিয়া। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে যান লতিবপুর এলাকার কামরুজ্জামান। ওই জমির খাজনা বাবদ ভূমি উপ-সহকারী কর্মকতা মোট ৩৩,৭৫৯ টাকা দাবি করেন। তার মধ্যে ২৬,৫০০ টাকা দেন কামরুজ্জামান। তবে তাকে একটি রশিদে দেওয়া হয় ১,৫৬২ টাকা। অপর আরেকটি রশিদে দেওয়া হয় ১, ৮৭৯ টাকা। কিন্তু বাকি টাকার কথা বললে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকতা আল আমিন মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ ছাড়াও তাহিয়ারপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের জমির খাজনা ৬,০৮৩ টাকা গ্রহণ করেন ওই কর্মকর্তা। রশিদে দেওয়া হয় ১০৮৩ টাকা। যা রসিদমূলে দেখানো হয়েছে।

‎স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জমির খারিজ, নামজারি, খাজনা প্রদান কিংবা রেকর্ড সংশোধন যে কাজই হোক না কেন, টাকা ছাড়া অফিসে কোনো ফাইল অগ্রসর হয় না। এখন এই ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিণত হয়েছে ঘুষ বাণিজ্যের কেন্দ্রে। যেকোনো ধরনের সেবা পেতে হলে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আল- আমিনকে ঘুষ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তার অফিসে রয়েছে দালাল চক্র। যারা নানা ধরনের সমস্যার কথা বলে সেবাগ্রহীতাদের ঘুষ দিতে বাধ্য করছে।’

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মৌখিকভাবে এক ধরনের খাজনা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রসিদে দেওয়া হয় অল্প টাকার চেক। এর বাইরে সব টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা।

‎ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান বলেন, ‘ভূমি কর্মকর্তা আল আমিন আমার কাছে জমির খাজনা বাবদ ৩৩,৭৫৯ টাকা দাবি করেন। তার মধ্যে আমি ২৬, ৫০০ টাকা প্রদান করি। কিন্তু আমার হাতে দুটি রসিদ ধরিয়ে দেন। একটি ১,৫৬২ টাকার অপরটি ১,৮৭৯ টাকা। তবে বাকি টাকার কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’

‎আরেক ভুক্তভোগী মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘জমির খাজনা দিতে গিয়ে ভূমি কর্মকর্তা আল আমিনকে ৬,০৮৩ টাকা প্রদান করি। তিনি আমার হাতে একটি ১,০৮৩ টাকার রশিদ ধরিয়ে দেন এবং বলেন আপনার খাজনা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার রসিদের কথা বললে তিনি আর কিছুই বলেননি।’

‎তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মকতা আসলেই দুর্নীতির আখড়া। তিনি মানুষকে নয়-ছয় বুঝিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু রসিদে দেওয়া হয় অল্প টাকার চেক।’

‎এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আল-আমিন মিয়া বলেন, ‘এখনতো হাতে হাতে টাকা নেওয়ার কোনো কার্যক্রম নাই। আপনি যদি আবেদন করেন, আমরা জমির খতিয়ান দেখি, ঠিক আছে কি না। তারপরে এপ্রুভাল দেই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

‎এ বিষয়ে কথা বলতে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

‎রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যটা পাওয়া গেলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page