ঢাকার বনানী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের মধ্যে একটি উদ্বেগজনক অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বনানীর প্রভাবশালী নেতা শহীদুল ওরফে, নামধারী “ডিব্বা” অভিযোগের মূল নায়ক হিসেবে পরিচিত, যিনি স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অবৈধ নারীদের স্পা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বনানী কবরস্থান সংলগ্ন ২৭ নম্বর রোডের একটি বহুতল ভবনের লিফটের ৫ তলায় দৈনিক ১০-১২ জন নারী নিয়ে চলছে এই ব্যবসা।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসার জন্য সরাসরি অর্থ জোগান দিচ্ছেন শহীদুল ওরফে নিজেই। স্থানীয় ও বিএনপি’র নেতাদের অভিযোগ, এই ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে শহীদুল ওরফে “ডিব্বা”-র খুটি জোরে, যিনি বনানী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে গঠিত একটি ছোট সিন্ডিকেট এলাকায় ভয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব বিস্তার করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেউ এই ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় এক সূত্র জানায়, “লিফটের ৫ তলায় প্রতিদিন নারীদের নিয়ে আসা হয়। এটি এক প্রকার ‘স্পা ব্যবসা’, কিন্তু বাস্তবে নারীরা নানা ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। শহীদুল ওরফে এবং তার সহযোগীরা এটিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কেউ মুখ খুলতে চাইলেই হুমকি ও চাপের মুখে পড়েন।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় নারী সাংবাদিককে জানিয়েছেন, “আমরা জানি, এখানে যা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কিন্তু শহীদুল ওরফে এবং তার সহযোগীদের ভয় দেখানোর ক্ষমতার কারণে আমরা কিছু বলতে পারি না।” এ বিষয়ে বিএনপি’র কিছু স্থানীয় নেতাও অভিযোগ করেছেন, “শহীদুল ওরফে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে নিজের ব্যবসার জন্য নারীদের ব্যবহার করছে।
বারবার অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন।” স্থানীয়রা দাবি করেছেন, শহীদুল ওরফে “ডিব্বা”-র সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ড কেবল ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বনানী এলাকার সামাজিক পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। তারা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে নারীদের নিয়োগ, অর্থসংগ্রহ ও ব্যবসার আয় পরিচালনা করা হচ্ছে, যা এলাকায় অস্থিরতা ও সামাজিক অনাচারের সৃষ্টি করছে। অভিযোগের সাথে সমান্তরাল, স্থানীয়রা প্রশাসনের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বনানী থানার সূত্রে জানা যায়, “আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। তবে এই ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ধীরগতিতে এগোচ্ছে।” স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসন যদি যথাযথ ও দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। শহীদুল ওরফে “ডিব্বা”-র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার সহযোগীরা অভিযোগকে “ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক” হিসেবে প্রতিপাদন করেছেন।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য ও প্রাপ্ত প্রমাণসমূহ ভিত্তিতে বিষয়টি সমাজের ন্যায্য দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচিত হওয়া জরুরি। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত থাকলে এলাকায় সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাবে। এক স্থানীয় বিশ্লেষক সাংবাদিককে বলেছেন, “রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা একটি গুরুতর বিষয়। যদি প্রশাসন যথাযথভাবে হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে এই সিন্ডিকেট আরও শক্তিশালী হবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব আরও বাড়বে।” শহীদুল ওরফে “ডিব্বা” বনানী এলাকায় একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই চক্রের মাধ্যমে অবৈধ কার্যক্রম চালু রাখা ও ব্যবসার আয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্তরা স্থানীয় ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রাখে, নারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে এবং কখনও কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দেয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় বিএনপি নেতা সাংবাদিককে বলেন, “এ ধরনের সিন্ডিকেট শুধু নারীদের ব্যবহার করছে না, বরং আমাদের মত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের উপরও চাপ প্রয়োগ করছে।
শহীদুল ওরফে ও তার সহযোগীদের প্রভাব প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।” স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের অবহেলার কারণে এই অবৈধ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলমান। তারা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত তদন্ত শুরু না করে, তাহলে বনানীর সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এবং এই সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বন্ধ করবে। এই প্রতিবেদনটি অনুসন্ধানধর্মী এবং স্থানীয়দের বক্তব্য ও প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে রচিত। স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে, শহীদুল ওরফে “ডিব্বা”-র সিন্ডিকেট শুধু ব্যবসার জন্য নয়, রাজনৈতিক প্রভাব ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের জন্যও নারীদের ব্যবহার করছে। এই ধরনের কার্যক্রমের অব্যাহত চলাচল বনানীর সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজের জন্য বিপজ্জনক। বনানীর প্রভাবশালী নেতা শহীদুল ওরফে “ডিব্বা”-র সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা সতর্ক ও ক্ষুব্ধ। তারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয়রা মনে করেন, এটি না রোধ করলে বনানীর সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ । ১২:১০ অপরাহ্ণ