বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশের সময়: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ । ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ভূমি অফিসে জায়গাজমির জটিলতায় পড়লে ভূমির পরিমাপে সার্ভেয়ার রিপোর্ট এবং নামজারি খতিয়ান সৃষ্টির জন্য আবেদন করলে ভূমির মালিকের ফাইল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে জনগণকে গণহয়রানির অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা- সার্ভেয়ার লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে।শাহজাদপুর ভূমি অফিসে লোকমান হোসেন গত
০৬ আগষ্ট ২০২৫ দায়িত্ব নেবার পর উপরি আয়ের নেশায় উন্মাদ হয়ে একের পর এক অনিয়ম করেও থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।দুর্নীতি, ঘুষ-বানিজ্য সহ নানাবিধ অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, অনেকের ভূমির নামজারির আবেদন এবং সার্ভেয়ার রিপোর্টের জন্য আবেদন করলে কোনো কারণ ছাড়াই বছরের পর বছর ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভূমি অফিসের অসাধু সার্ভেয়ার লোকমান হোসেনের সাথে মোটা অংকের চুক্তি করে কাজ করতে হচ্ছে।
বেতন মাত্র ৩০ হাজার টাকার কম হলেও গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন সহ গড়েছেন সম্পদ, শুধু নিজের নামে নয় স্ত্রী, শ্যালক ও ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।এ যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়ায় এত সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। একজন সার্ভেয়ার জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪ তম গ্রেডের কর্মচারী। যার বেতন সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। তবে এত সম্পদ কীভাবে হল তার?
অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের অসাধু সার্ভেয়ার লোকমান হোসেন অথবা তার নিয়োগকৃত দালালদের মাধ্যমে টাকার চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফাইলে স্বাক্ষর হয় না।
বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযোগ করেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার লোকমান হোসেন টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস ভূমিও ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি করে দেয়। এক্ষেত্রে কয়েক লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়ে থাকে।
তারা আরো জানান, দালাল ছাড়া সরাসরি তদরির করে নামজারি খতিয়ান মেলে না। কেউ সরাসরি তদবির করলে তাকে বিভিন্ন ছল-চাতুরির মাধ্যমে ঘুরিয়ে হয়রানি করে থাকে। অনেক সময় নথি গায়েবের ঘটনাও ঘটেছে।
শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার
লোকমান হোসেনের ৩-৪ জনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেটটি এভাবে অনিয়ম ও অবৈধ পন্থায় নামজারি খতিয়ানে ব্যবস্থা করে লোকজন থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভূমি অফিসের প্রসঙ্গে শাহজাদপুর সদরের ৩নং ওয়ার্ডের চরধুনাইল এলাকার ফরিদ উদ্দীন বলেন, শাহজাদপুর ভূমি অফিসে নামজারি খতিয়ান দেয়া নাকি বন্ধ, বর্তমান যে এসিল্যান্ড উনি নাকি জায়গা জমির বিষয় বুঝে না, যেটাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় সেটা ছাড়া কোন ফাইলই ধরছে না বলে বিষয়টি ভূমি অফিসের অফিস স্টাফরা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী গোলাম হোসেন জানান, তার এলাকায় নদী খননের বালি নিয়ে চলছে হরিলুট। প্রশাসনের কেউ কেউ হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
এ বিষয়ে কথা বলতে জাকিরুল ইসলামের নাম্বার এবং হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো রেসপন্স করেননি।
অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী সাধারণ জনগণ।