ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বিরাজমান রয়েছে তেমনি একজন কর্মকর্তা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.বেগম সামিয়া সুলতানা,তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাথে বিভিন্ন অন্তরঙ্গের ছবি ভাইরাল হতে দেখা গেছে। তিনি মহাপরিচালক হওয়ার পর এই দপ্তরে একক আধিপত্য বিস্তার করছেন বলে জানাযায়,পুরাতন অনেক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঢালাও ভাবে বদলি করিয়ে তার মনোনীত কর্মকর্তাদের আশে পাশে রেখে একের পর এক সুবিধা নিচ্ছেন ড.বেগম সামিয়া সুলতানা। সম্প্রতি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলামকে দুর্নীতির প্রতিবাদ করার পর সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের (ডিজি) বিরুদ্ধে অনিয়মিত শ্রমিক নিয়োগ, বিশেষ বিধানে এনক্যাডারমেন্ট এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করে আসছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তার সংযুক্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসেন এর নিজ ইউনিয়নের নয় জনকে নিয়োগ, নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এবং অফিসকে সুবিধা দেওয়া এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া ডিজির সংযুক্ত কর্মকর্তা মো: ফারুক হোসেন,নুরুল হুদা আল মামুন, ও জগলুল পাশা পুতুল ডিজির মাধ্যমে বিরাট অংকের আর্থিক লেনদেন এর মাধ্যমে কিছু সংখ্যক নন ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানে এনক্যাডারমেন্ট করে দেওয়ার পায়তারা করছে।এর ফলে পুরো প্রতিষ্ঠান আরো স্থবির ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে মো: আমিনুল ইসলাম প্রকাশ্যে আপত্তি জানালে প্রশাসনিক চাপে তাকে দূরবর্তী কর্মস্থল সুনামগঞ্জে বদলি করা হয়।
সহকর্মীরা জানান, একজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে এভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তারা মনে করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই তার বদলির মূল কারণ।
প্রসঙ্গত, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে বারবার নিয়োগ ও বাজেট বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কার্যকর তদন্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে অনিয়ম রুখতে গিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হতে হলে ভবিষ্যতে কেউ আর দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলবে না। তাই দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত এবং সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫ । ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ