চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে সার সংকট দেখা দিয়েছে। ভরা রোপন মৌসুমে সার ডিলারদের গোডাউনে পর্যাপ্ত পরিমান ইউরিয়া ও পটাশ সার মজুদ থাকলেও কৃষকদের ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও ডিএপি সারের সবচেয়ে বেশি প্রোয়োজন ঠিক সেই সময় দেখা দিয়েছে এসব সারের বড় সংকট।তবে সামান্য পরিমান সার ডিলারদের ঘরে আসলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম হওয়ায় জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে লাইন দাড়িয়ে সার নিতে হচ্ছে। এসময় ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। চলতি মৌসুমে জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় প্রধান খাদ্য শস্য ভুট্টা, বারমেসে সবজি পেঁপেঁসহ শীতকালীন সব্জী ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো, আলু, গাজর, শসা, শিম, পালং শাক, মুলা, লাউ, মরিচসহ বিভিন্ন রকম সবজি চাষ হয়ে থাকে।গতকাল সোমবার(১০ই নভেম্বর) উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নে একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরিতে ২০ কেজি করে টিএসপি সার দেওয়া হয়েছে এখানে চাহিদা মত সার না পেয়ে আব্দুল কাদের নামে ক্ষিপ্ত হয়ে এক কৃষক উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা নসির উদ্দীনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে।পরদিন সোমবার রাতে উপজেলা সদরের বিসিআইসি ডিলার মেসার্স আনোয়ার টেডার্সে চাহিদার তুলনায় সামান্য পরিমান ৩২৪ বস্তা টিএসপি ও ১৩৭৬ বস্তা ডিএপি সার আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে দোকানের সামনে সার নিতে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকে কৃষকরা। বেলা ১০টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরিতে ১বস্তা টিএসপি অথবা ১বস্তা ডিএপি সার দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সার না পেয়ে কৃষকরা মিশ্র সার, ইউরিয়া ও পটাশ সার দিয়ে বপন করছেন বিভিন্ন ধরনের ফসল।এতে করে ফসলের উৎপাদন অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলার দেউলি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলে তিনি ৩বিঘা জমিতে কলা বাগার ও তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। মাস খানেক আগে তিনি টিএসপি সার না পাওয়ায় অন্যান্য সার দিয়ে ফসল লাগিয়েছেন।এখন জমিতে সেচ দেওয়ার সময় হয়ে গেছে এখন টিএসপি সার দিয়ে সেচ দিতে হবে সার আসার খবর পেয়ে ভোরে এসে বসে আছি দুপুর হয়ে গেল এখনো সার পায়নি। তিনি আরো বলেন সারের এমন অবস্থা, টাকা দিয়ে সার পাচ্ছি না সার দিতে না পারলে ফসলের ফলন অনেক কমে যাবে। উপজেলার পার দামুড়হুদা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন টিএসপি অথবা ডিএপি না পেয়ে মিশ্র সার দিয়ে লাগানো হয়েছে ফসল কেমন হবে বলতে পারছিনা। এছাড়া ২বিঘা পেঁপেঁ রয়েছে টিএসপি সার দেওয়ার দরকার কিন্তু শুধুমাত্র মিশ্র সার দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সারের কোন সংকট নেই বললেও সার চাইলে তারা শুধুমাত্র ইউরিয়া ও পটাশ সার অথবা মিশ্র দিয়ে ফসল বপন করতে বলছেন। পরে টিএসপি সার আসলে টিএসপি অথবা ডিএপি সার দেওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করছেন। দামুড়হুদা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় সারের কোনো বড় ধরনের ঘাটতি নেই। গতকাল থেকে সার আসা শুরু হয়েছে ১/২দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত সার চলে আসবে আর কোন ঘাটতি থাকবেনা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ । ১১:৩৯ অপরাহ্ণ