খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

বান্দরবানের জেলা পরিষদ সদস্য লাল জারলম বমের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ
বান্দরবানের জেলা পরিষদ সদস্য লাল জারলম বমের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
78

বান্দরবানের আলোচিত সংগঠক ও জেলা পরিষদের সদস্য লাল জারলম বমের বিরুদ্ধে এবার উঠেছে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের কোটি টাকার আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ।
শিক্ষক–সুপারভাইজারদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি অর্থের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অফিস সরঞ্জামের বরাদ্দ আত্মসাৎসহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলায়।
সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনতে ২০১৮ সালে চালু করা হয়।
প্রকল্পটির আওতায় বান্দরবানের রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় — প্রতি উপজেলায় ৩ কোটি টাকা করে।

স্থানীয় এনজিও কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট ফোরাম (CAF) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়, যার নির্বাহী পরিচালক ছিলেন লাল জারলম বম, বর্তমানে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য।

প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি উপজেলায় কয়েকশ’ শিক্ষক ও সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়, যাদের মাধ্যমে নিরক্ষর জনগণকে স্বাক্ষরতা শিক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে আলীকদমে ৬০০ শিক্ষক ও ১৩ জন সুপারভাইজার এবং ২০১৮ সালে রুমায় ১,০২০ জন শিক্ষক ও ১৫ জন সুপারভাইজার ও থানচিতে ১,০০০ শিক্ষক ও ১৫ জন সুপারভাইজারের জন্য ছয় মাসের ভাতা বরাদ্দ ছিল।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, রুমা ও থানচি উপজেলায় মাত্র দেড় মাসের ভাতা প্রদান করে বাকি অর্থ ভুয়া স্বাক্ষর, জাল কাগজপত্র ও কল্পিত তালিকার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।

সূত্রমতে, এই দুই উপজেলার ভাতা বাবদ মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৪ কোটি টাকাই শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের না দিয়েই আত্মসাৎ করা হয়।
এ ছাড়া অফিস সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ২৮ লাখ টাকাও বিতরণ করা হয়নি — বরং সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় বিভিন্ন সময় তদন্ত কমিটি গঠন হলেও কার্যত কোনো ফল হয়নি।
তাদের অভিযোগ, তৎকালীন মন্ত্রী বীর বাহাদুর, তার সহধর্মিণী মেহ্লা প্রু এবং  সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ প্রভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।

তাদের প্রভাবের কারণে প্রশাসনও নিরব ভূমিকা পালন করে, এমনকি মামলা করার প্রস্তুতি নিলেও মন্ত্রী পরিবারের হস্তক্ষেপে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি।

একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

তদন্ত শুরু হলেই ওপর মহল থেকে ফোন আসে। যারা তথ্য দিত, তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হতো। এতে করে প্রকৃত অপরাধীরা এখনো নিরাপদে।
বান্দরবান জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. মঞ্জুর আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন — রুমা, থানচি ও আলীকদমে মোট ৯ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় এনজিও কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট ফোরাম (CAF), যার নির্বাহী পরিচালক ছিলেন লালজারলম বম। রুমা ও থানচির শিক্ষকদের ছয় মাসের বেতনের মধ্যে মাত্র দেড় মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকাগুলো আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
তদন্তের সময় লালজারলম বম কখনো উপস্থিত হননি। বরং তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করেন। এমনকি পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF)–এর মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

আরো উল্লেখ্য,সরকারি প্রকল্প ছাড়াও Presbyterian Church in Bangladesh–এর বান্দরবান লোকাল চার্চের নামে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৬,৩৯১ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাত লাখ টাকা) ইউসিবি ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট হিসাবে লাল জারলম বমমের নামে স্থানান্তর হয়।

স্থানীয়দের দাবি, এই অর্থও প্রকৃত খাতে ব্যবহৃত না হয়ে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

একজন স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন,
বিদেশি অনুদানের টাকাগুলোও ঠিক যেভাবে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বরাদ্দ আত্মসাৎ করা হয়েছে, সেভাবেই প্রভাবশালী মহল ভোগ করছে। তদন্ত হলে আরও বড় দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে জানতে লালজারলম বমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এছাড়া তার কার্যালয় থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলায় এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় শিক্ষক সমাজ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নাগরিক সংগঠনগুলো বলছে,
যে ব্যক্তি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে শিক্ষা প্রকল্প ধ্বংস করেছে, তাকে জেলা পরিষদের সদস্য করা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা।

আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন,
যাদের নামে বরাদ্দ ছিল, তারা অনেকেই ভাতা পাননি। অথচ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, সব ভাতা প্রদান সম্পন্ন! এটি পরিকল্পিত প্রতারণা।

বান্দরবানের সচেতন নাগরিক সমাজ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারিক তদন্ত ও লালজারলম বমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।
তাদের মতে, যদি এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়, তবে এটি শুধু দুর্নীতি নয়, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page