খুঁজুন
শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক, ১৪৩২

ঢাকা ওয়াসায় সচিব মশিউর রহমান খানের নিয়োগ ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্নঃ তদন্ত দাবি কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকা ওয়াসায় সচিব মশিউর রহমান খানের নিয়োগ ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্নঃ তদন্ত দাবি কর্মচারীদের
53

ঢাকা ওয়াসায় নিয়োগ, বদলি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নতুন করে মুখে মুখে ঘুরছে। সংস্থাটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা নিয়োগ-বাণিজ্য, বদলি-লেনদেন এবং অভ্যন্তরীণ আইনি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি—এই অনিয়মের ফলে ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, কর্মপরিবেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক উত্তরাধিকার নীতিতে আস্থা হ্রাস পাচ্ছে।
এ বিষয়ে ওয়াসার ভেতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে আউটসোর্সিং নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভাগের বদলি আদেশ পর্যন্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আর্থিক বিনিময়ের শর্তে স্বাক্ষরিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও সচিব বা ওয়াসার কোনো দায়ী কর্মকর্তা এখনো এসব অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে স্বীকার করেননি। তারা জানিয়েছেন—“সমস্ত নিয়োগ স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত কাঠামো অনুযায়ী হয়েছে”।
আউটসোর্সিং নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ : গত এক বছরে ওয়াসায় ৩০০-এর বেশি আউটসোর্সিং নিয়োগ দেওয়া হয়। শ্রমিক ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য অভিযোগ করেন, প্রতিটি নিয়োগে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- “নিয়োগের প্রক্রিয়া আগে তালিকা করা, পরে ‘শর্ত মানলে’ যোগদানের অনুমতি—এভাবে চলে। এ জন্য প্রভাবশালী কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী থাকে।” তারা দাবি করেন, যেসব নিয়োগে সুপারিশের কথা বলা হয়, সেখানে আসলে সুপারিশ-প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে টাকার লেনদেনকে গোপন রাখার জন্য।
বদলি ও প্রশাসনিক আদেশে অসঙ্গতি : ওয়াসার ওয়েবসাইটে দেখা যায় — মাঝে মাঝে বদলি আদেশ দেওয়া হচ্ছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা বাতিল করা হচ্ছে। কিছু কর্মকর্তা জানান, এধরনের ঘটনা কখনও প্রকৃত কারণ জানার আগেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার তাড়াহুড়ো কিংবা আর্থিক লেনদেনের শর্ত পাল্টে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
একজন কর্মকর্তার ভাষ্যে-“একজন কর্মকর্তা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগেই আবার নতুন বদলি আদেশ দেওয়া হয়। এটি স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়।” এ বিষয়ে সচিবের অফিস সূত্র দাবি করে, অনেক সময় “তথ্য যাচাই ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বিবেচনায়” আদেশ বাতিল করা হয়।
বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি ও অভিযোগ : আরেকটি আলোচিত অভিযোগ হলো—চলমান বিভাগীয় মামলার নিষ্পত্তিতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ। কোনো কোনো কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বড় অংকের অর্থ প্রদান করলে মামলার জটিলতা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। অন্যদিকে, যাঁরা অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাঁদের বদলির মতো প্রশাসনিক চাপের মুখে পড়তে হয়।
একজন কর্মচারী বলেন-“যে মামলা বছরের পর বছর ঝুলে ছিল, কিছু দিনে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আবার যারা অর্থ দিতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত বা নোটিশ আসে।” তবে সচিবালয় সূত্র দাবি করেছে—এই অভিযোগগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভাগীয় মামলার নিষ্পত্তি সর্বদা প্রতিষ্ঠিত শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী করা হয়।
মাস্টার রুলস কর্মচারীদের স্থায়ীকরণে হতাশা : মাস্টার রুলসে কর্মরত শতাধিক কর্মচারীর স্থায়ী পদে যোগদানের বিষয়ে আদালতের রায় থাকলেও বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ—স্থায়ী পদে যোগদানের প্রক্রিয়ায়ও “শর্ত ও অনানুষ্ঠানিক দাবি” রয়েছে।
একজন কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- “আমরা মামলায় জিতেছি। কিন্তু কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা পেতে হলে যদি নতুন করে অর্থ দিতে হয়—তাহলে লড়াই করার মানে কি?” এই কর্মচারীরা জানান—তারা আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হলে পুনরায় আইনি লড়াই করবেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা : ওয়াসার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলোর সময়মত সম্পন্ন, ক্রয় প্রক্রিয়া, সরঞ্জাম আমদানি এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা—সবকিছুই প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভরশীল। কর্মকর্তাদের অনিয়মিত বদলি ও কর্মচারীদের অসন্তোষ প্রকল্প অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এক প্রকৌশলী জানান-“সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত না হলে সরঞ্জাম আমদানি, টেন্ডার ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সবকিছু ব্যাহত হয়। এতে জনসেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও কিছু কর্মকর্তা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সিনিয়র সদস্য বলেন “আমরা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু নীতি ও স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য কথা বলছি। তদন্ত হলেই প্রমাণ বের হয়ে আসবে।”
ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবামুখী প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রশাসনিক অনিয়ম বা ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে তা সরাসরি নাগরিক সেবাকে প্রভাবিত করে। এ অভিযোগগুলো এখন পর্যবেক্ষণ ও তদন্তের দাবি তুলছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ চাইলে নথিভিত্তিক অডিট, অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক অনুসন্ধান এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক সত্য যাচাই শুরু করতে পারে।
সঠিক তদন্তই প্রমাণ করবে এই অভিযোগগুলো কতটা সত্য, কতটা রাজনৈতিক বক্তৃতা বা অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ।

রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
   
রাবিতে ৪০ বছর পর ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

চার দশকেরও বেশি সময় পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।

সংগঠনটির ক্যাম্পাসে সর্বশেষ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেদিন শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের বাধা ও পরবর্তী সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের চার কর্মী নিহত হন। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শিবির তাদের নবীনবরণ আয়োজন ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করে আসছিল।

নবীন বরণে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, এরকম নবীনবরণ আমরা আর কোনো সংগঠনের কাছ থেকে পাইনি। আমাদের বলা হতো শিবির নারী বিদ্বেষী, শিবির রগ কাটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আমরা তাদের যত কাছাকাছি গেছি, তত তাদের সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের মতাদর্শ বুঝতে পেরেছি। আমরা চাই আজকের এই ক্যারিয়ার গাইডলাইনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যায় তারা যেন সবসময় তৎপর থাকেন।

এসময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ ছাত্রশিবির রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল। সেই ঘটনা আমাদের এখনো আবেগতাড়িত করে। সেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্য মতাদর্শের ভাইয়েরা বুমেরাং হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। নবীনবরণ আয়োজনের পর আমাদের চার ভাই আর ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। তাদের আঘাতে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছিলেন। তারা হলেন সাব্বির ভাই, হামিদ ভাই, আইয়ুব ভাই এবং জব্বার ভাই। তারা ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ হিসেবে আজও বিবেচিত। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতি বছর ১১ মার্চ ছাত্রশিবির ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে। এটি ছিল রাবি ছাত্রশিবিরের প্রতি জুলুমের ইতিহাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, অতীতে আমার ছাত্ররা ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে হলে উঠতে হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার সিট বাণিজ্য হতো৷ আমরা হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন চালু করেছি৷৷ ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। অতীতে তুচ্ছ কারণে আমাদের ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে৷ এই ক্যাম্পাসে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা উঠানো হয়েছিল। সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছে৷

এদিন নবীনবরণের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নানারকম উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ পরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ও চাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ও ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধাম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
   
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবা‌সী নিহত

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাহাবুবুর রহমান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সা‌ড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা লক্ষীপুর গ্রামে এই সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহাবুবুর রহমান কালা লক্ষীপুর গ্রামের সাব্দার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও কম্বোডিয়া প্রবাসী।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন বিশ্বাস ও ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী জিয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সকাল সা‌ড়ে নয়টার দি‌কে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হুমায়ন বিশ্বাস গ্রু‌পের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। প‌রে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ‌নিবার দুপুর ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাহাবুবুর রহমান‌কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহ সদর উপ‌জেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নে বিএনপির ফিরোজ ও হামিদ গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
   
গ্রেপ্তার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্ত্রী রিয়ামনির দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

এর আগে বুধবার হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। সেই প্রেক্ষিতেই আজ তাকে আটক করে পুলিশ।রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্ত্রী রিয়া মনি মামলাটি করেন। এ মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিম নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

You cannot copy content of this page